Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

ক্রেতার অভাবে দোকানে ঝাঁপ, ধুঁকছে কর্মতীর্থ

কর্মসংস্থানের জন্য মাস আটেক আগে চালু করা হয়েছিল আরবান হাট বা কর্মতীর্থ। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বিনামূল্যে ঘর পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে দোকান খোলার আগ্রহ পাচ্ছেন না বলে দাবি কালনার অনেক ব্যবসায়ীর। যদিও পুরসভার দাবি, কর্মতীর্থে যাতে মানুষজন আসেন সে জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কালনায় কর্মতীর্থের ভবন। নিজস্ব চিত্র

কালনায় কর্মতীর্থের ভবন। নিজস্ব চিত্র

কেদারনাথ ভট্টাচার্য
কালনা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:২৭
Share: Save:

কর্মসংস্থানের জন্য মাস আটেক আগে চালু করা হয়েছিল আরবান হাট বা কর্মতীর্থ। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বিনামূল্যে ঘর পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে দোকান খোলার আগ্রহ পাচ্ছেন না বলে দাবি কালনার অনেক ব্যবসায়ীর। যদিও পুরসভার দাবি, কর্মতীর্থে যাতে মানুষজন আসেন সে জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রয়েছে তিনতলা এই কেন্দ্রটি। আট মাস আগে ব্যবসা করার জন্য ৪৭টি ঘর তুলে দেওয়া হয় বেকার তরুণ-তরুণীদের। কেউ কাপড়ের দোকান, কেউ কম্পিউটার আবার কেউ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস দুয়েক যেতে না যেতেই বেশিরভাগ দোকানে ঝাঁপ পড়তে শুরু করে। কেউ-কেউ দোকান টিকিয়ে রাখতে মাঝে-মধ্যে খোলেন। বর্তমানে এই কেন্দ্রের তিনতলায় মেয়েদের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ চলে। দোতলায় দোকান খোলেন ৫ জন, এক তলায় ১৩ জন। অভিযোগ, তাঁরাও অনেকে নিয়মিত নন।

কর্মতীর্থে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু দোকানের গেটে জমে রয়েছে পুরু ধুলো। যাঁরা দোকান খুলে রেখেছেন, তাঁদের কাছেও নেই ক্রেতার দেখা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘কোনও-কোনও দিন দুশো টাকারও বিক্রি হয় না। তবু ভাল দিনের আশায় এখনও আঁকড়ে পড়ে রয়েছি।’’ ব্যবসায়ীরা জানান, খরিদ্দার কম আসায় অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে।

কর্মতীর্থ পরিচালনার জন্য রয়েছে ‘প্রগতি’ নামে কমিটি। সেটির সম্পাদক ইন্দ্রনীল বসু বলেন, ‘‘একই ছাতার তলায় নানা রকম দোকান থাকলে মানুষের আগ্রহ বাড়ে। ঘুরে পছন্দ করে জিনিস কিনতে পারেন তাঁরা। কর্মতীর্থে বহু দোকান না খোলায় মানুষের যাতায়াত কমছে। ফলে, যাঁরা দোকান খুলছেন তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, সরকারের তরফে গোটা ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণে কিছু অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও তা মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কর্মতীর্থের পিছনে রয়েছে একটি নির্জন এলাকা, যেখানে আলো না থাকায় সন্ধ্যা নামতেই দুষ্কর্ম শুরু হয়।

পুরসভা অবশ্য জানায়, কর্মতীর্থে সাধারণ মানুষের নজর টানতে সামনের অংশে একটি বাজার তৈরি হচ্ছে। সেখানে ৪৫টি পাকা ঘর হচ্ছে। এ ছাড়াও পূর্ণ সিনেমা হল চত্বরের একটি বাজারকে কর্মতীর্থের কাছাকাছি আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘বেশ কিছু দোকান কর্মতীর্থে খুলছে না, সে খবর আমরা পেয়েছি। এ ব্যাপারে একটি তালিকা তৈরি করছে পুরসভা। প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে ঘর ফিরিয়ে নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karma Titha State Government Customers Shop
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE