Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

আপসে লড়লে বিপদ, বার্তা ভাগবতের

সিস্টার নিবেদিতার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিস্টার নিবেদিতা মিশন ট্রাস্ট।

সায়েন্স সিটিতে মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

সায়েন্স সিটিতে মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:২৬
Share: Save:

লক্ষ্য যদি হয় দেশ গঠন, তা হলে সেই সমাজের কোনও স্তরেই নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার কোনও জায়গা নেই। একমাত্র স্বার্থ জড়িয়ে থাকলেই একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করে। আর নিজেদের মধ্যে লড়াইই দেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনই মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।

সিস্টার নিবেদিতার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিস্টার নিবেদিতা মিশন ট্রাস্ট। সেখানেই প্রধান বক্তা ছিলেন ভাগবত। ভারতে নিবেদিতার অবদান প্রসঙ্গে বক্তৃতা করার সময়ে তিনি বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিরও ব্যাখ্যা করেন। সঙ্ঘপ্রধান বলেন, ‘‘রাষ্ট্র নির্মাণ যদি লক্ষ্য হয়, তা হলে নিজেদের মধ্যে মতান্তর নিয়ে ঝগড়া করা ঠিক নয়।’’ সভায় উপস্থিত অনেকেই মনে করছেন, এ কথা বলে ভাগবত আসলে সাম্প্রতিক বিজেপি-র কোন্দলের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিংহ দিন কয়েক আগে মোদী সরকারের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি-সহ অনেকে। বিজেপি-র একাংশ মনে করছে, ভাগবত এ দিন প্রকারান্তরে ওই বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিজেপি নেতাদের।

শুধু সতর্ক করাই নয়, আপসে লড়ার ফল কী হতে পারে, তা বোঝাতে গিয়ে ভাগবত বলেন, ‘‘স্বাধীনতার আগে কমিউনিস্টদের মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মতো নেতাও ছিলেন। কংগ্রেসেও অনেক বিদগ্ধ নেতা ছিলেন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে তাত্ত্বিক লড়াইয়ের জন্য সেই দলগুলির এখন কী অবস্থা!’’ ভাগবত এ দিন আরও বলেন, ‘‘নবীনদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রবীণদের অবহেলা করা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়।’’ বিজেপি-র একাংশের মতে, ভাগবতের এই বক্তব্য আসলে বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্বকে সচেতন করে দেওয়া যে, নবীন প্রজন্ম সামনে এলেও লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলমনোহর জোশী, যশোবন্তদের মতো প্রবীণ নেতাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

আরএসএসের মতে, রাষ্ট্রবাদই সবার উপরে। ভাগবতও এ দিন সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই দেশে হিন্দু-মুসলমান সকলে মিলে মিশে নিজের নিজের ভোজন-উপাসনা পদ্ধতি-জীবনচর্যা মেনেই থাকবে। সকলে ভারতমাতার সন্তান হয়ে থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE