প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তার আগেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্য। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, ১৬ অগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদই বাছা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি আসনে ভোট হয়েছে।
এই ধরনের বোর্ড গঠনে আইনি জটিলতা নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে সব আসনে ভোট হয়েছে, সেখানে বোর্ড গঠন করতে বলা হয়েছে। কোনও আদালতই এ নিয়ে কিছু বলেনি। বোর্ড গঠনের সময় হয়ে যাচ্ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’ বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের এ ব্যাপারে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৩২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬৩৮টিতে বোর্ড গঠন হবে ১৬ থেকে ২৯ অগস্টের মধ্যে। ৩৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২৩টিতে ৩১ অগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ড গঠন শেষ হবে। উল্লেখ্য, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে একটিও পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হচ্ছে না। ২০টি জেলা পরিষদের মধ্যে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া— এই আটটিতে বোর্ড গঠন হবে ১০-১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই স্থায়ী সমিতি বা উপসমিতি তৈরি না-করার নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। এর কারণ হিসেবে উদাহরণ দিয়ে দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধরা যাক কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে কেউই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেননি। কিন্তু সেখানকার সমিতি বা উপসমিতিতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদাধিকার বলে স্থান পান। সেই সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে থাকতে পারেন। তেমন সম্ভাবনা ঠেকাতেই সমিতি গঠন বন্ধ রাখা হয়েছে।’’
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় ৩৪ শতাংশ প্রার্থী বিনা ভোটে জিতেছেন। এ নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই প্রার্থীদের নামে বিজ্ঞপ্তি জারি না করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তার পরেই ‘ঝঞ্ঝাটহীন’ বোর্ডগুলি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সুব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র লাগে। এ ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ভোট হওয়া আসনগুলির ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি আগামী সোমবার। সেই মামলার রায় যা হবে, সেই অনুসারেই বাকিগুলির ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy