সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে সারদা গোষ্ঠীর যাবতীয় তথ্য চেয়েছিল সিবিআই। আবার তারা সেই সমস্ত তথ্য চাইল। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। সিবিআইয়ের দাবিমতো কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ওই সব তথ্য সরবরাহের কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সারদা গোষ্ঠী কবে তৈরি হয়েছে (ইনকর্পোরেশন), সেই খুঁটিনাটি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া কোম্পানির নথি-সহ যাবতীয় তথ্য প্রথম দফাতেই নিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। তার পর থেকে সেই সব নথির ভিত্তিতেই এগিয়েছে সিবিআইয়ের তদন্ত। শুরুতে গতি থাকলেও মাঝখানে কিছুটা সময় তদন্তের গতি বেশ মন্থর হয়ে যায়। সম্প্রতি আবার গতি পেয়েছে সারদা-তদন্ত। সিবিআি আগে যে-সব নথি নিয়েছিল, আবার সেগুলিই চাওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, এক বার নথি সরবরাহ করা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বার সেগুলো চাওয়ার কারণ কী?
কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শুরুতে তদন্তকারী দলে কর্পোরেট আইন এবং তার ফাঁকফোকর খুঁজে বার করার মতো বিশেষজ্ঞের অভাব ছিল। ফলে আইন এড়িয়ে সারদা গোষ্ঠী কী ভাবে এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখনকার তদন্তকারীদের মধ্যে অভিজ্ঞ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের পাশাপাশি কর্পোরেট আইনের একাধিক বিশেষজ্ঞ অফিসার রয়েছেন। সম্ভবত তাঁদের নির্দেশেই সময়ের ধারাবাহিকতা মেনে সারদার সমস্ত তথ্য ফের গুছিয়ে পাঠাতে হচ্ছে সিবিআইয়ের কাছে।
কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদেরই কেউ কেউ আবার মনে করছেন, তদন্ত গুটিয়ে এনে চার্জশিট চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই জন্য তদন্তের প্রতিটি স্তরের ব্যাখ্যা পেতে নথি চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, তৎকালীন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে যে-অভিযোগপত্র পাঠিয়েছিলেন, তাতে বাজার থেকে টাকা তোলা ছাড়াও সারদা-কর্ণধারের বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানোর অভিযোগ ছিল। বর্তমান অনুসন্ধানে সেই দিকটিও বিশেষ ভাবে বিবেচনা হতে পারে। তবে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের মতো প্রতিষ্ঠান থাকার পরেও কী ভাবে তাদের নজরদারি এড়িয়ে সারদা অত দিন ধরে আর্থিক অনিয়ম চালিয়ে গেল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ
করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিট বা বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় এক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। পরবর্তী পর্যায় সেই অফিসার বদলি হয়ে যান। এ দিকে বিপুল পরিমান তথ্য নানা ক্ষেত্রে এ-দিক ও-দিক হয়ে গিয়েছে। সেগুলো একত্র করার জন্যই ফের ওই সব নথি চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায় অস্থায়ী ভাবে স্থানীয় কয়েক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সদর দফতরের নির্দেশে চূড়ান্ত চার্জশিট তৈরি করা হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে ওই সব নথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষায় কড়া নজরে ‘ক্ষোভ’
মালদহ: পরীক্ষা হলে কড়া নজরদারির ‘প্রতিবাদ’ করল কিছু পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার পুরাতন মালদহের সাহাপুর হাইস্কুলে অভিযোগ ওঠে, উগ্র পরীক্ষার্থী-বহিরাগতদের দাপটে ভয়ে সিঁটিয়ে যান শিক্ষকরা। এক শিক্ষককে হেনস্থাও করা হয়। অভিযোগ, মালদহ থানা থেকে পুলিশ গেলে পরীক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় ।
নিজস্ব সংবাদদাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy