Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সারদা মামলায় শিবাজীকে তিন ঘণ্টা জেরা করল সিবিআই

সেই শিবাজী পাঁজাকে ডেকে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করল সিবিআই।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০১
Share: Save:

সারদা ও রোজ ভ্যালির মতো অর্থ লগ্নি সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। সেই শিবাজী পাঁজাকে ডেকে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করল সিবিআই।

২০১১-’১২ সালে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে একাধিক ছবি বিক্রি করে শাসক দলের নেতারা ছ’‌কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রের খবর, কলকাতার টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির যে-প্রদর্শনী হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিলেন শিবাজী। অভিযোগ, সেখান থেকেই ছবি দেওয়া হয় সুদীপ্তকে।

সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কে সারদার অফিস থেকে ছবি বিক্রির সেই টাকা শিবাজী নিজের হাতে নিয়ে এসেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তারা জানাচ্ছে, রোজ ভ্যালির মালিক গৌতম কুণ্ডুকে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রির ক্ষেত্রেও শিবাজী প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা ‘সক্রিয়’ ভূমিকা নেন বলেও সিবিআই সূত্রের খবর। তদন্তকারীরা জানান, সেই কর্তাকেও শীঘ্রই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

শুক্রবার শিবাজীকে ওই ছবি বিক্রি নিয়েই দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, এক সময় শিবাজীর সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা গিয়েছিল শাসক দলের মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন, এ দিন তা-ও জানতে চান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে যান শিবাজী। ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তখন দিল্লি পুলিশের একটি প্রতারণার মামলা ঝুলছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মাস তিনেক আগেও ব্যাঙ্ক-প্রতারণার অন্য একটি মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। কয়েক দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এখন তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।

এ দিন যোগাযোগ করা হলে শিবাজী বলেন, ‘‘সিবিআই কিছু নথি জমা দিতে বলেছিল। দিয়ে এসেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE