ফের নড়াচড়া সারদা তদন্তে। সোমবার আচমকাই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এ দিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত, প্রায় তিন ঘণ্টা বীরভূমের সাংসদকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
প্রথমে রোজ ভ্যালি ও পরে নারদ কেলেঙ্কারি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পরে সারদা-তদন্ত গতি হারিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এখনও ওই মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট দেয়নি সিবিআই। এ দিন সেই মামলাতেই অফিসারেরা সাংসদের বাড়িতে গিয়ে জেরা করেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার’ ছিলেন শতাব্দী। গত দু’বছরে সিবিআইয়ের তরফে একাধিক বার শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি আইনজীবী মারফত সিবিআইয়ের দফতরে নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সিবিআই দফতরে কখনওই সশরীরে হাজির হননি।
তদন্তকারীদের দাবি, চেক ও নগদ মিলিয়ে সারদার প্রচুর টাকা সাংসদের কাছে পৌঁছেছিল। সাংসদের দেওয়া সেই সংক্রান্ত নথি যাচাই করা হয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, ২০১২ সালে অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরেই শতাব্দীকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসেবে নেওয়া হয়। সারদার সঙ্গে সাংসদের বার্ষিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়।সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও সারদার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তার মধ্যে শতাব্দী সম্পর্কেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
শুধু কি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসেবেই তিনি বছরে ৫০ লক্ষ টাকা নিতেন, নাকি অন্য সুবিধাও পাইয়ে দিতেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। প্রয়োজনে সাংসদকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এ দিন শতাব্দী রায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএস-এরও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy