Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশের দুই কর্তাকে এ বার চিঠি দিল ইডি

পুলিশি সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ম্যাঙ্গো লেনের একটি সংস্থায় হানা দিয়ে বিভিন্ন নথি এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

রোজভ্যালি কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিককে চিঠি ইডি-র।

রোজভ্যালি কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিককে চিঠি ইডি-র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০০
Share: Save:

কলকাতা পুলিশের দুই ডেপুটি কমিশনার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় (এসইডি) এবং মুরলীধর শর্মা (এসটিএফ)-র কাছে দু’টি মামলার তথ্য এবং নথি চেয়ে চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। একটি মামলা বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির হোটেল সংক্রান্ত। অন্যটি রোজ ভ্যালির টাকা পাচার নিয়ে। লালবাজারের দাবি, দু’টি বিষয়েই তাদের জবাব কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশি সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ম্যাঙ্গো লেনের একটি সংস্থায় হানা দিয়ে বিভিন্ন নথি এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। মুরলীধরের কাছে সেই সব বাজেয়াপ্ত নথি সম্পর্কে জানতে চেয়ে ইডি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হার্ড ডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ইডি আদালতে আবেদন না-করে পুলিশকে ফের তাগাদা দেওয়ায় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই নিয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন করতে বলে ইডি-কে।’’

পুলিশি সূত্রের জানা গিয়েছে, ম্যাঙ্গো লেনের ওই সংস্থার অফিস থেকে দেড় কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই অফিসের কম্পিউটারে ‘রোজ ভ্যালি’ লেখা একটি ফোল্ডার পাওয়া যায়। সেটি ঘেঁটে পুলিশের সন্দেহ হয়, ওই সংস্থার মাধ্যমে রোজ ভ্যালির প্রায় ১৫ কোটি টাকা অন্যত্র পাচার করা হয়েছে। সেই সময় রোজ ভ্যালি মামলায় ইডি-র তদন্তকারী অফিসার মনোজ কুমারের সঙ্গে রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর যোগাযোগের কথাও নাকি পুলিশ ওই ফোল্ডার থেকে জানতে পেরেছিল। পুলিশ পরে শুভ্রাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে।

দ্বিতীয় মামলাটি রোজ ভ্যালির ক্রোম হোটেল নিয়ে। পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ৩ অগস্ট বালিগঞ্জ থানা এলাকার এজেসি বসু রোডে ওই হোটেলে ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ আমানতকারীরা। ইডি-র যুগ্ম অধিকর্তার তরফে চিঠি পাঠিয়ে কলকাতা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। পুলিশ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। আমানতকারীদের অভিযোগ ছিল, ওই হোটেলের টাকা অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি পুলিশকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইডি দাবি করে, পুলিশের কাছে ওই টাকা পাচারের তথ্য রয়েছে। সেগুলো যেন ইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE