Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Gautam Kundu

গৌতমের দু’টি ফোন কই, ফের চিঠি ইডি-কে

রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। —ফাইল ছবি

রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৪:৪২
Share: Save:

আগেও জানতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর দু’টি মোবাইল ফোনের হদিস দিতে ব্যর্থ হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারের পরে গৌতমের মোবাইল দু’টির কী হল, বিস্তারিত ভাবে তা জানতে চেয়ে ইডি-কে আবার চিঠি দিল সিবিআই। রোজ ভ্যালি-মালিকের ফোন ছাড়াও কাদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন, ওই চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ইডি ২০১৫ সালের মার্চে রোজ ভ্যালির মালিককে গ্রেফতার করে। কিন্তু গৌতমের দু’টি মোবাইল ফোন তারা বাজেয়াপ্ত করেনি বলে জেনেছে সিবিআই। এ নিয়ে বার বার জানতে চাওয়া হলে ইডি মৌখিক ভাবে সিবিআই-কে জানায়, গৌতমের গাড়িতে ফোন দু’টি রাখা ছিল। তাঁর গাড়িচালক সেগুলি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে সেগুলো উদ্ধার করা যায়নি। যদিও এই নিয়ে সিবিআই-কে লিখিত ভাবে কিছুই জানাতে চাইছে না ইডি।

ইডি-র বক্তব্য মানতে রাজি নয় সিবিআই। ওই সংস্থার কর্তাদের সন্দিগ্ধ প্রশ্ন, প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ইডি তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেনি? সিবিআই-কর্তাদের ধারণা, ফোন দু’টি নিলেও ইডি সরকারি ভাবে তা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দেখায়নি। ফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গৌতমের যোগাযোগের বিষয়টি অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে।

তবে এই নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকাও প্রশ্নাতীত নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল শিবির। তাদের প্রশ্ন, ২০১৫-য় গৌতম গ্রেফতার হন। তা হলে এত দিন (পাঁচ বছর) পরে সিবিআই তাঁর ফোন চেয়ে উঠেপড়ে লাগল কেন? ইডি যদি না-দেয়, তা হলে টেলিফোন সংস্থার কাছ থেকে ফোনের কল ডেটা রেকর্ডের (সিডিআর) সবিস্তার তথ্য কেন সংগ্রহ করছে না তারা?

সিবিআই অবশ্য জানাচ্ছে, তাদের হাতে অসংখ্য বেআইনি লগ্নি সংস্থার মামলা ঝুলে রয়েছে। ইডি প্রাথমিক ভাবে রোজ ভ্যালির মামলা শুরু করেছিল। কিন্তু ইডি যে গৌতমের মোবাইল দু’টি বাজেয়াপ্তই করেনি, তা জানা গিয়েছে অনেক পরে। টেলিফোন সংস্থা সাধারণ ভাবে এক বছরের সিডিআর জমা রাখে। এখন তাদের কাছ থেকে ২০১৫-র রেকর্ড পাওয়া মুশকিল।

সিবিআইয়ের অন্দরের অনেকে জানাচ্ছেন, সারদা মামলার ক্ষেত্রে রাজীব কুমার, অর্ণব ঘোষেদের বিরুদ্ধেও সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের টেলিফোন নম্বরের সিডিআর না-দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বার বার জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পরেও তার নিষ্পত্তি হয়নি। রোজ ভ্যালির ক্ষেত্রে ইডি-র ভূমিকাও একই রকম।

ইডি-র পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, গৌতমের গ্রেফতারির পরে তদন্তের প্রয়োজনে যা যা করা উচিত ছিল, সবই করা হয়েছে। তদন্তে সংগৃহীত সব সাক্ষ্যপ্রমাণই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gautam Kundu Rose Valley Scam CBI ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE