Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সাংসদের টাকায় খাদানে ক্যামেরা

অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে অনেক দিন আগেই প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্যামেরা লাগানো, ওয়াচটাওয়ার বা নজরমিনার বসানো, পুলিশি টহলদারির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৮
Share: Save:

টানাপড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কোন জাদুতে সম্ভব হল সেটা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপের পরেই নড়নচড়ন শুরু হল কি! এই নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে প্রশাসনের অন্দরে।

সরকারি সূত্রের দাবি, অবৈধ বালি খাদানগুলিতে নজরদারি বাড়াতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সাংসদদের তহবিল থেকে ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সম্প্রতি। পুলিশ মহলের খবর, ঘটনাচক্রে সেই ঘটনার পরেই অবৈধ বালি খাদানগুলিতে কী ভাবে নজরদারি চালানো হবে, তড়িঘড়ি তা স্থির করতে বৈঠক ডাকতে চলেছেন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্র। পুলিশকর্তাদের একাংশের অনুমান, খাদানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে ডিজি বৈঠক করতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং প্রধানত দুই বর্ধমান, বীরভূম, হুগলির মতো জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। খাদানগুলির উপরে নজরদারির সুসংহত উপায় বার করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে অবৈধ ভাবে বালি তোলা প্রতিরোধের রাশ নিজেদের হাতে নেবে প্রশাসন।

অনেক আধিকারিকের বক্তব্য, সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট যে-কোনও দফতরই অর্থ বরাদ্দ করতে পারত। পুলিশের তহবিল থেকেও এই কাজ করা যেত। কিন্তু অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে অনেক দিন আগেই প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্যামেরা লাগানো, ওয়াচটাওয়ার বা নজরমিনার বসানো, পুলিশি টহলদারির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনকি রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তি এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে রং না-দেখে ব্যবস্থাগ্রহণের ছাড়পত্রও পুলিশকে দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এক বছর ধরে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই একই বার্তা দিয়েছেন মমতা। এত দিনে খাদান নিয়ন্ত্রণের কাজে যতটা অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে সাংসদ তহবিল থেকে ক্যামেরা বসানোর অর্থের ব্যবস্থা করে প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চয়েছেন বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE