গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) কার্যালয় ঘিরে সমর্থকদের ভিড়।- নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ৩ বছর পর দার্জিলিঙের পাতলেবাসে খুলল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) কার্যালয়। ওই এলাকাটি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং-এর খাসতালুক হিসাবেই পরিচত। পাহাড়ে অশান্তির কারণে বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা ‘কোনঠাসা’ হয়ে পড়েন। পুলিশ অফিসারের মৃত্যু-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়ে যায় বিমলের। তার পর থেকেই বন্ধ ছিল পাতলেবাসে বিমলের বাড়ি এবং দলীয় কার্যালয়টি। দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দেন বিমল। এমনকি, বিজেপি-কে ভোটের ‘সবক’ শেখানোরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে পাতলেবাসে বিমলের কার্যালয় নতুন করে খুলে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিমলের ‘আত্মপ্রকাশ’-এর পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে বদলাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক সমীকরণও। বিনয় তামাং এবং তাঁর অনুগামীরা পাহাড়ে বিমলদের ‘অনুপ্রবেশ’ মেনে নিতে পারছেন না। কে বিমল? বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিনয় গোষ্ঠী। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইও চলছে পাহাড়ে। সম্প্রতি বিমল দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার বিজেপি ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় যোগ দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে ফের নিজের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিমল-রোশনরা। আজ, দলীয় কার্যালয় খোলার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জিজেএম-এর অনুগামীরা। দলের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা নিয়েই তাঁরা কার্যালয় খুলেছেন।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে যাত্রীর ভিড়ে করোনা আতঙ্ক! বাড়তে পারে ট্রেন, ফের বৈঠকে রেল-রাজ্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy