—ফাইল চিত্র।
একটি সড়ক প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকার কড়া ‘সমালোচনা’ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এক বছর পরে অন্য একটি সড়ক প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়সীমার আগেই শেষ করে রাজ্য জিতে নিল কেন্দ্রীয় পুরস্কার!
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রগতির বৈঠকে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বছরের পর বছর ধরে কেন আটকে থাকছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি রাজ্যের ভূমিকার তারিফ করে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক। কারণ, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে থাকা প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক (৬০এ) সম্প্রসারণের কাজ নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শেষ করেছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পূর্তসচিবকেও।
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে ওই জাতীয় সড়ক আগে ছিল সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সম্প্রসারিত করে দু’লেনের ওই সড়ক ১০ মিটার চওড়া করা হবে। গোটা প্রকল্পের কাজ চলে পূর্ত দফতরের তত্ত্বাবধানে। কেন্দ্রের ধার্য করা সময়সীমা অনুযায়ী, ৩০ মাসের মধ্যে তা শেষ করার কথা ছিল পূর্ত দফতরের। খরচ ধরা হয়েছিল ৩২২ কোটা টাকা। দেশীয় এবং বিদেশি দু’টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় কাজ। নির্ধারিত সময়ের ১৭০ দিন বা প্রায় ছ’মাস আগেই ওই সড়কের সম্প্রসারণ শেষ করেছে পূর্ত দফতর।
ওই দফতরের কর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, যে-সড়কের জন্য রাজ্যকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এবং যেটির জন্য পুরস্কার জুটল, দু’টি রাস্তার দৈর্ঘ্য এক— প্রায় ৮৪ কিলোমিটার। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে জমি পাওয়াই ছিল অন্যতম সমস্যা। তুলনায় কম হলেও ৬০এ জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রেও জমি সমস্যা ছিল। তা সত্ত্বেও সময়ের আগে কাজ শেষ করতে পেরেছে রাজ্য। তবে ফারাক হল, এ ক্ষেত্রে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’ বা ইপিসি পদ্ধতিতে কাজ করেছে পূর্ত দফতর। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের ব্যাখ্যায় ইপিসি-র অর্থ, প্রকল্পের নকশা থেকে নির্মাণ পর্যন্ত পুরো কাজের দায়িত্ব থাকে নির্মাণ সংস্থার উপরে। তত্ত্বাবধান-সহ বাকি প্রশাসনিক দায়িত্ব পূর্ত দফতরের।
বারাসত-কৃষ্ণনগর সড়ক প্রকল্পের গতি ততটা বেশি নয়। কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিলোমিটার রাস্তার সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) পাঠানো হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে। বড়জাগুলি থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার অংশে জমির সমস্যা এখনও কাটেনি। প্রস্তাবিত চার লেনের ওই সড়কটি প্রায় সাড়ে ১৮ মিটার চওড়া করার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy