Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সুগার হলেই দেখিয়ে নিন চোখ

রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সে আর এমন কী! বয়সকালে এ তো আকছার হচ্ছে। কিন্তু, সুগারের মাহাত্ম্য এখানেই, যে এটি ধীরে ধীরে চোখ, কিডনি-সহ নানা অঙ্গকে বিকল করে দেয়। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে অন্ধ করে দেয়। আসলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে রেটিনার ভেতরের ছোট ছোট রক্ত নালীর ক্ষতি হয়। তার থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, পরামর্শ দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিবেক দত্ত।

ডা. বিবেক দত্ত
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সে আর এমন কী! বয়সকালে এ তো আকছার হচ্ছে। কিন্তু, সুগারের মাহাত্ম্য এখানেই, যে এটি ধীরে ধীরে চোখ, কিডনি-সহ নানা অঙ্গকে বিকল করে দেয়। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে অন্ধ করে দেয়। আসলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে রেটিনার ভেতরের ছোট ছোট রক্ত নালীর ক্ষতি হয়। তার থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, পরামর্শ দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিবেক দত্ত।

তা হলে উপায়?

ডায়বেটিস ধরা পড়লেই চোখ দেখাবেন। হতেই পারে শরীরে ডায়বেটিস বাসা বেঁধেছে বেশ কিছু দিন, ধরা পড়ল দেরিতে। তত দিনে চোখের খানিকটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ধরা পড়লেই রেটিনা বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেবেন। দু’রকমের ডায়বেটিস আছে। টাইপ-১ ডায়বেটিস কম বয়সে হয়। এতে প্রথম পাঁচ বছর চোখের ক্ষতি হয় না। কিন্তু তার পর থেকে ক্ষতি হতে শুরু করে। প্রথম ১০ বছরে ৫০% আর ১৫ বছরে ৯৫% চোখের ক্ষতি হয়। টাইপ-২ ডায়বেটিস বেশি বয়সীদের হয়। যত দিন পুষে রাখবেন, তত বেশি ক্ষতি হবে চোখের। আবার প্রেগন্যান্সির সময়ও অনেকের ডায়বেটিস হয়। সেটি নিয়ন্ত্রণে না রাখায় বাচ্চার জন্মের পর চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন ঘটনাও বহু ঘটে। আসলে ডায়বেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চোখকে বাঁচাতে প্রথমেই দরকার কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ। তবে আজকাল অনেক আধুনিক চিকিৎসা এসেছে। যাতে অন্ধত্বের হাত থেকে চোখকে বাঁচানো সম্ভব। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে থাকলে লেজারের মাধ্যমে আটকানো সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হারানো দৃষ্টিকে ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু বাকিটা রক্ষা করে পুরোপুরি অন্ধত্বের হাত থেকে চোখকে বাঁচানো যায়।

ডায়াবেটিসে চোখের সুরক্ষায়—

রক্তে সুগারের মাত্রাকে বশে রাখুন। বাড়তে দিলে হবে না।

রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

অ্যানিমিয়া হলে সেটিকে ঠিক করতে হবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়তে দেওয়া চলবে না।

কিডনিকেও ভাল রাখতে হবে।

সাক্ষাৎকার রুমি গঙ্গোপাধ্যায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE