ড্রেজিং: মুড়িগঙ্গায়। ফাইল চিত্র
সাগরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, প্রশাসনিক বৈঠকে আদায় করতে সমর্থ হলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। কাকদ্বীপ থেকে সাগরের কচুবেড়িয়া যাওয়ার জন্য এখন সারা বছরই যাতে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং হয়, শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য। একই সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে আরও সাবধান হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন পৈলানের প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়ক বঙ্কিমবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, গঙ্গাসাগর মেলার আগে যে ক’টা দিন ড্রেজিং হয়, তারপর আর ড্রেজিং হয় না মুড়িগঙ্গায়। তার জেরে সাধারণ মানুষকে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা, কখনও কখনও বা ছ’ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয়। কারণ, ওই রুটে সে সময়ে ভেসেল চলে না। চরা পড়তে পড়তে এখন নতুন তৈরি করা লট-৮ ঘাটের ভবিষ্যৎও অন্ধকারে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার সময়ে ড্রেজিং করতে এ বার প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু একবার ড্রেজিং করে সারা বছর যদি ওই গভীরতা বজায় রাখার জন্য সামান্য ড্রেজিং করতে থাকা হয়, তা হলে মেলার সময়ে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই সারা বছর সব সময়েই জলযান, ভেসেল চলাচল করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাতে খরচ বাড়বে, বলাইবাহুল্য। তবে যত দিন না মুড়িগঙ্গার উপরে সেতু হচ্ছে, এটা ছাড়া উপায় নেই বলেই দাবি করেছেন সাগরের মানুষ। বঙ্কিমবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, তাজপুরে বন্দর হয়ে গেলে সাগরেও প্রস্তাবিত মিনি বন্দর নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করবেন। সেই প্রকল্পে কাকদ্বীপ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত একটি সেতুর প্রস্তাব রয়েছে।
ও দিকে, গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছরই গঙ্গাসাগর মেলায় এসে পদপিষ্ট হয়ে ৬ তীর্থযাত্রীর মারা যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিল তাদের পরিবার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের সচেতন করেন। তাঁর কথায়, ‘‘এক সঙ্গে অত লোককে ঘাটে যেতে দেবেন না। এক কিলোমিটার, প্রয়োজনে পাঁচ কিলোমিটার দূরেই তাঁদের আটকে দিন। নিয়ন্ত্রণ করে ছাড়ুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy