নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি—ফেসবুক থেকে নেওয়া।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও ভয়ের কিছু নেই। সুস্থতার হার বেশি। তবে, জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে সবার সহযোগিতা চাইলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি কোভিড-সেন্টারের জন্য জায়গা না পাওয়ার বিষয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন। মমতার কথায়, “জায়গা না দিলে মানুষের চিকিৎসা কী করে হবে? আরও চার হাজার বেড বাড়ছে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে।”
মুখ্যমন্ত্রী আজ খানিকটা অভিযোগের সুরে বলেন, “একটা কমিউনিটি সেন্টার পাচ্ছি না। আমার পাড়ায় করা যাবে না। কোভিড হলে কী করবে? কারও পাড়ায় কোভিড সেন্টার থাকবে না, সেফ হাউজ থাকবে না! কারও পাড়ায় দেহ পোড়ানো যাবে না! প্রতি দিন যদি ৩০ জন মারা যায়, কী হবে? ধাপা একটাই চুল্লি, তা-ও খারাপ হচ্ছে। টাকা দিচ্ছি, সাত দিনে আর একটা চুল্লি তৈরি করে দিন।’’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ, রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার, দাবি গবেষণায়
এ দিন সচেতন হওয়ার বিষয়ে রাজ্যবাসীকে পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আরও প্রায় চার হাজার বেড বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। এনআরএসে নতুন করে ১১০টি বেড, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজেও কোভিড বেড করা হবে। এ ছাড়া কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও বেড বাড়ছে। কো-মর্বিডিটি থাকার কারণে মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমাদের সচেতন হতে হবে।”
একই সঙ্গে সরকারি অফিসে ৭০ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ হাজিরার কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন। এ বার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মী আসবেন দু’দফায়। বেসরকারি ক্ষেত্রেও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের উপরে জোর দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কগুলোর তরফ থেকেও আবেদন এসেছে। বেলা ২টোর পর তাদের ছুটি দেওয়া যায় কি না দেখতে হবে। পাশাপাশি শনি-রবি বন্ধ।”
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy