তাদের উপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা রাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না বলে আদিবাসীদের আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই তিনি সতর্ক করেন, আদিবাসীদের উপর অন্যায় হলে অভিযুক্তদের ছাড় দেবে না সরকার।
সম্প্রতি দুই আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয় রায়গঞ্জ শহর। এই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রায়গঞ্জে আদিবাসীদের কয়েকজনের উপরে অত্যাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্তও চলছে। দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার নির্যাতিতাদের সব রকম সাহায্য করছে। কোথাও আদিবাসীদের হেনস্থার চেষ্টা হলে ছেড়ে দেব না।’’
আরও পড়ুন: মেয়ে হওয়ায় বঁটির কোপ, অ্যাসিড
এখানেই শেষ নয়, আদিবাসী সম্প্রদায়ের নানা সমস্যার সমাধানে তাঁর সরকারের আন্তরিকতা বোঝাতে চটজলদি আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। আজ, বুধবার উত্তরকন্যায় ওই বৈঠকে যোগ দেবেন পাহাড়-সমতলের অনেক আদিবাসী নেতা। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য
সভাপতি বিরসা তিরকে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আস্থা রাখছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়গঞ্জের বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। বৈঠকে সেটাও বলব।’’ দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের সবাইকে কেন গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে গত ১৪ জুলাই রায়গঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করার সময়ে ব্যাপক তাণ্ডব চলে। ভাঙচুর হয় দোকানপাট, গাড়ি। অন্তত ৭ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রায়গঞ্জে যান অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী জেমস কুজুর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ও
দক্ষিণবঙ্গের আদিবাসী নেতা তথা বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। আদিবাসীদের তরফে পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানানো হয়। এর পরে উত্তর দিনাজপুরের এসপি ও রায়গঞ্জের আইসিকে বদলি করা হয়।
সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জে অনেক ক্ষতি হয়েছে। জেলাশাসক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আদিবাসী ভাইদের অনুরোধ করছি, আমি যতক্ষণ আছি ততক্ষণ কোনও চিন্তা করবেন না। সবাই যাতে মিলেমিশে থাকতে পারি, সেটা সবাইকে দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy