কোতোয়ালি থানায় ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিআইডি। —ফাইল চিত্র।
ফের নতুন একটি মামলায় নাম জড়াল প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের। এ বার দুর্নীতি দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করল সিআইডি।
দাসপুরের যে তোলাবাজির মামলায় ভারতী ঘোষের নাম জড়িয়েছিল, সেই মামলার অভিযোগকারী চন্দন মাজি সিআইডি-র বিরুদ্ধেই এখন মামলা করেছেন। তাঁর দাবি, সিআইডি নাকি তাঁকে জোর করে মামলা দায়ের করিয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সিআইডি স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করল।
সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) নিশাত পারভেজ বলেন, “ওই এলাকায় ভারতীর নামে হিসাববহির্ভূত জমি, বাড়ি রয়েছে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। তাঁর আয়ের প্রেক্ষিতে যে সম্পত্তি থাকার কথা, তার থেকে প্রায় ৩২০ শতাংশ বেশি সম্পত্তির মালিক ভারতী ঘোষ। সে কারণেই নতুন করে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে আমার রণনীতি? দেখতে থাকুন অনেক চমক আছে
সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে দেখা গিয়েছে ভারতী ঘোষের নামে অনেক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। সে সম্পত্তির হদিশ পেতেই এই মামলা। ভারতীর স্বামী এমএভি রাজুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি। কিন্তু ভারতী নিজে কোথায় রয়েছেন, তার খোঁজ পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা। পুলিশ-প্রশাসনের সমালোচনা করে মাঝেমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
দাসপুরের মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এবং তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলকে ফেরার দেখিয়ে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। ভারতী-সুজিত ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ভারতীর স্বামী এমএভি রাজু এবং চার জন পুলিশ আধিকারিক-সহ ছ’জনের। দাসপুরের ব্যবসায়ী চন্দন মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা শুরু হয়।
ভারতীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫, ৩৮৯ (তোলাবাজি), ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ (জালিয়াতি) ১১৯, ৪০৩ এবং ১২০(বি) ধারায় মামলা রয়েছে। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল দুর্নীতি দমন আইনেও।
ভারতী ঘোষ সম্প্রতি একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেছেন, সিআইডি মিথ্যে মামলায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁর নাম জড়ানোর হচ্ছে। এই বার্তার পরই ফের নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy