—ফাইল চিত্র।
আইটিআই-য়ের প্রশ্ন-ফাঁস কাণ্ডে এবার কল্যাণী থানার পুলিশকে তলব করল সিআইডি।
সিআইডি-র তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হতে পারে তা আগে থেকে জানা সত্ত্বেও কল্যাণী থানা যেমন অভিযুক্তদের হাতে পেয়েও ছেড়ে দিয়েছে, তেমনই ওই থানা আগে থেকে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরকে আগে থেকে সতর্ক করলে পরীক্ষার্থীদের এ ভাবে হলে গিয়ে হেনস্থা হতে হত না।
সিআইডি সূত্রের খবর, তারা তদন্তভার হাতে নিয়ে যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের কল্যাণী থানা আগেই আটক করেছিল। প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ হিসেবে থানার হাতে অভিযুক্তদের কথপোকথনের অডিও টেপ ছিল। তা সত্ত্বেও কেন, কার কথায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা না করেই তাদের থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হল তা সিআইডি জানতে চায়। এ জন্যই কল্যাণী থানার একাধিক অফিসার ও কমর্মীকে তারা জেরা করতে চায় বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি-র এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই ওই থানার কয়েকজন অফিসার-কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। অন্য কয়েকজনকে আমরা ভবানীভবনে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। কল্যাণী থানার ভূমিকা আমাদের সন্দেহজনক ঠেকছে।’’
কল্যাণী থানার অফিসার-কর্মী ছাড়াও প্রশ্ন ফাঁস-কাণ্ডে বেলঘড়িয়ার যে প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছিল তার কয়েকজন কর্মী এবং কারিগরি শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। ইতিমধ্যেই ওই সব কর্মীদের নামের তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। সিআইডি-র গোয়েন্দারা বলেন, ‘‘আমরা অনেককেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছি। তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন নামও ঢুকবে।’’
গত ২৮ জুন আইটিআই পরীক্ষার সময়ে দেখা যায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এর মধ্যেই অরজিৎ দাস, তুহিন দাস বা বাপ্পা পাইন নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy