Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

শিশু বিক্রি নিয়ে ফের চার্জশিটের তোড়জোড় 

শিশু বিক্রি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করার অনুমতি চেয়ে জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজের (প্রথম কোর্ট) কাছে আবেদন জানিয়েছে। সিআইডি সূত্রের খবর, ওই আদালতেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে।

জলপাইগুড়ির শিশু বিক্রি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করবে সিআইডি। প্রতীকী ছবি।

জলপাইগুড়ির শিশু বিক্রি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করবে সিআইডি। প্রতীকী ছবি।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২২
Share: Save:

বুধবার রামপুরহাটের প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যের হাতেও সিআইডি আছে, এসটিএফ আছে। আমরাও চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারি।’’ ঘটনাচক্রে, এর কয়েক দিন আগেই জলপাইগুড়ির শিশু বিক্রি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করার অনুমতি চেয়ে জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজের (প্রথম কোর্ট) কাছে আবেদন জানিয়েছে। সিআইডি সূত্রের খবর, ওই আদালতেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে।

শিশু চুরি মামলায় সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয় ২০১৭ সালে। তার মাসখানেকের মধ্যেই দত্তক দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকায় শিশু বিক্রির অভিযোগে সংস্থার কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় গ্রেফতার করা হন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকেও। মামলায় যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে অভিযুক্তের তালিকায় জুহি ও চন্দনার নাম রয়েছে। শিশু চুরির সঙ্গে জুহির যোগ নিয়ে বিস্তারিত বলার সময়ে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামও উল্লেখ করা হয়।

এর মধ্যে দু’দফায় দুই নেতানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। চন্দনা এবং জুহির মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ফোন থেকে অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, সেগুলি উদ্ধার করতেই ফোন বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয়। গত বুধবারই এই মামলায় দার্জিলিং জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন এক সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।

প্রশ্ন হল, এ বারে কি তা হলে কোনও প্রভাবশালীকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে সিআইডি? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মামলার তদন্ত গুটিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। সে নামগুলির মধ্যে কয়েক জন যথেষ্ট প্রভাবশালী বলে দাবি। তাঁদের জেরা করা হতেই পারে। যদিও সিআইডির আইনজীবী সুব্রত কর্মকার মামলা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলার নেই।” অভিযুক্তের তরফে অন্যতম আইনজীবী অত্রি শর্মা বলেন, ‘‘মনগড়া সব অভিযোগ লিখে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” রাজ্যের তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তৎপর হলে দল যে ভাবে তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীও ঠিক সেই সুরে দাবি করেছেন, তাঁদের দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে রাজ্য সরকারের সংস্থা সিআইডি মিথ্যে অভিযোগে জড়াচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE