প্রতীকী ছবি।
ফুড ডেলিভ্যারি অ্যাপের কর্মী, অ্যাপ-ক্যাবের চালক বা অনলাইন পরিষেবার ডেলিভারিম্যান— আধুনিক সময়ে এমন সব ক্ষেত্রের কাজ করছেন বহু তরুণ-তরুণী। আক্ষরিক অর্থেই তাঁরা ‘অসংগঠিত’। দলের দুঃসময়ে এই বিরাট অপরীক্ষিত ক্ষেত্রেই এ বার নজর দিল সিপিএম। তাদের শ্রমিক সংগঠন সিটুর ডাকে মঙ্গলবার তরুণ শ্রমজীবী কনভেনশনে এসে নানা ক্ষেত্রে কর্মরত ওই তরুণ-তরুণীদের অনেকে আর্জি জানালেন, ন্যায্য পাওনা ও ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কোনও মঞ্চ গড়ে এগোনো হোক। এঁদের আশঙ্কা, তাঁরা কোনও সংগঠনের ডাকে যোগ দিয়ে দাবিদাওয়ার কথা বলছেন জানাজানি হলেই চাকরি খোয়াতে হবে। তাই সিটুর আশ্বাস, নামধাম গোপন রেখেই ওঁদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তারা পাশে দাঁড়াবে।
এমন কনভেনশনের উদ্যোগ এই প্রথম। সেখানে রাখা ফর্ম পূরণ করে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, কার কাজের জায়গায় কী সমস্যা। মঞ্চে উঠে তাঁরাই স্বেচ্ছায় সমস্যার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। অনলাইন পরিষেবার তরফে কেউ পণ্য পৌঁছে দেন বাড়িতে। পিএফ, ইএসআই তো দূরের কথা, তাঁর বাইকের তেলের খরচাও যায় নিজের পকেট থেকে। কেউ কাজ করেন বেসরকারি সংস্থার বিপণনে। বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলার পরেও যে কোনও অছিলায় চাকরি হারাতে হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। মাইক্রোবায়োলজিতে এমএসসি করে এখন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করছেন এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, পিএফ দেওয়া হয় না, রাতে মেয়েদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও নেই। আবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মরত কারও অভিযোগ, কাজের সময়ের নির্দিষ্ট গণ্ডি ভেঙে যখন তখন কাজ করে দেওয়ার পরেও ‘যোগ্য পাওনা’ তাঁদের জোটে না।
কাজের নিরাপত্তা এবং ন্যায্য আর্থিক অধিকার আদায়ের জন্য জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাকই উঠে এসেছে কর্মরত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে থেকে। কৌশলে যে পরিসর কাজে লাগাতে চাইছে সিটু। সংগঠনের কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বুঝিয়ে দিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে কোন কোন আইনের সুযোগ তাঁরা পেতে পারেন। আর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবীণ সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অচিরেই উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় আরও বড় আকারে তরুণ শ্রমজীবীদের সঙ্গে আদানপ্রদানের আয়োজন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy