—ফাইল চিত্র।
যুব তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের গোবিন্দপুর মোড়ে। আহত আট যুব তৃণমূল কর্মী। একজনকে পাঠানো হয়েছে কলকাতার নার্সিংহোমে।
দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, ভাঙচুর চালায় যুব তৃণমূল কর্মীরা। অবরোধ হয় বাসন্তী হাইওয়ে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য কাইজার আহমেদের অফিসে। বোমা ছোড়ার ঘটনায় কাইজার-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে থানায়। তিনজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর মোড়ে যুব তৃণমূলের কিছু কর্মীর উপরে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূলের দাবি, কাইজারের নেতৃত্বেই হামলা চলে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে রাতে গোবিন্দপুর মোড়ে বিক্ষোভ হয়। যে বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই বাড়িতে ভাঙচুর চলে। একটি মোটরসাইকেল শোরুম ভাঙচুর করা হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়ি, মোটরবাইকেও ভাঙচুর চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি গাড়িতে। আসেন বিধায়ক তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা, ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি আরাবুল ইসলাম।
রবিবার সকাল থেকে কাইজারের গ্রেফতারের দাবিতে যুব তৃণমূল কর্মীরা ঘণ্টা তিনেকের জন্য বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করেন। কাইজারের অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। সওকত বলেন, “দল এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে।” এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অবশ্য মানতে চাননি তিনি। অন্য দিকে, কাইজারের বক্তব্য, “বিজেপি বা অন্য দল থেকে আসা কিছু লোক আমাদের দলকে বদনাম করতে এ সব করছে। বহিরাগত কিছু লোক আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy