—ফাইল চিত্র।
কলকাতা এবং লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শতাধিক পুর ওয়ার্ড এলাকায় ডেঙ্গির আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক করে দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ওই সব এলাকার কাউন্সিলরদের আরও বেশি করে জনসচেতনতা বাড়ানোর উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি)। রাজ্য নগরোন্নয়ন পর্ষদের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক একটি রিপোর্ট দিয়ে জানান, মূলত জল ও জঞ্জাল জমানোর প্রবণতা দেখেই ওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় কলকাতা পুরসভার ১০০টি ওয়ার্ড, বিধাননগরের ১০টি এবং ভাটপাড়ার ১৪টি ওয়ার্ড আছে। কলকাতার ১৩টি, ভাটপাড়ার তিনটি, বিধাননগরের চারটি এবং আরও কিছু ওয়ার্ডকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ওই সব ওয়ার্ডের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সমীক্ষায়।
ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুরসভার ভূমিকার কথা তুলে ফিরহাদ বলেন, ‘‘গত বার ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, এ বার তার ১০ শতাংশও হয়নি। তবে আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। সপ্তাহে এক বার বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হবে কাউন্সিলরদের। তা হলেই বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়বে।’’ এক ধাপ এগিয়ে ডেঙ্গি রুখতে বন্ধ বাড়ির তালাও ভাঙা যেতে পারে বলে জানান পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব সুব্রত গুপ্ত। কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বন্ধ থাকা বাড়ি, অফিস বা অন্যত্র ডেঙ্গিবাহী মশার উৎসস্থল থাকলে প্রথমে নোটিস দিন। তাতে ফল না-হলে প্রয়োজনে তালা ভেঙে কাজ করুন। মামলা হলে দফতর আপনাদের পাশে থাকবে।’’ বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে, কলকাতায় থাকলেও রাজ্যের অনেক পুরসভায় পতঙ্গবিদ নেই, ডেঙ্গি নির্ণয়ের কেন্দ্র নেই। পুর দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব পুরসভাকেই প্রকল্প রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। পরিকাঠামো গড়তে টাকা দেওয়া হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার প্রধানেরা জানান, ভোটার তালিকা তৈরির জন্য তাঁদের পুরসভা থেকে শ’চারেক স্বাস্থ্যকর্মী তুলে নেওয়া হচ্ছে। ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীদের তুলে নেওয়া যাবে না। আমরা এই ব্যাপারে নিবার্চন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব,’’ অভয় দেন সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy