প্রতীকী ছবি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রয়াত হয়েছেন ২৫ দিন আগে। মাস ঘুরতে চললেও এখনও নতুন প্রদেশ সভাপতির নাম ঠিক হয়নি। এরই মধ্যে আবার চূড়ান্ত আকার নিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ডামাডোল। তার জেরে আরও সঙ্কটে এ রাজ্যের কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের সব শিবিরই যখন ঘরোয়া প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, তখন দলের এমন অচলাবস্থায় হতাশা চেপে বসছে কংগ্রেসের অন্দরে। সেনাপতি ঠিক না হলে সেনাবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে কীসের জোরে, এই প্রশ্নই তুলছেন দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশ। এখন আবার পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এআইসিসি প্রদেশ সভাপতি ঠিক করলেও নির্দেশিকায় কে সই করবেন, তা নিয়েই সংশয আছে! কারণ, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছেন আবার রাহুল গাঁধীও ফের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। দিল্লিতে আজ, সোমবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে কোনও সুরাহা বেরোয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা।
বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বাছাই সংক্রান্ত রিপোর্ট কে সি বেণুগোপালকে দিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছেন। এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বেণুগোপাল এখন হাইকম্যান্ডের জট নিয়ে জেরবার। পদাধিকার বলে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধিুরী রবিবার সনিয়াকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সনিয়া এবং রাহুলের নেতৃত্বই যে কংগ্রেসের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত, সে কথাই লিখেছেন তিনি। বাংলায় যখন সভাপতির খোঁজ চলছে, তখন এআইসিসি নেতৃত্বের ডামাডোল নিয়েই মাথা ঘামাতে হচ্ছে অধীরবাবুকে।
সোমেনবাবুর প্রয়াণের পরে রাজ্যে দলের দৈনন্দিন কাজকর্ম সামলাচ্ছেন প্রদেশ সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রয়াত সভাপতির স্মরণ-সভা করতে গিয়েও সোমেনবাবুর স্ত্রী শিখা মিত্রের আপত্তিতে তাঁকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। সপ্তাহখানেক দিল্লিতে কাটিয়ে তিনি শহরে ফিরেও এসেছেন। রাজ্য কংগ্রেসের সকলকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বিস্তর ‘যদি ও কিন্তু’র দিকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy