Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

জমির জল বার করতে সমন্বয়ে জোর মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫২
Share: Save:

অতিবৃষ্টিতে জেলার বহু জায়গাতেই চাষের জমিতে জল জমে যায়। জমা জল দ্রুত বার না করা গেলে অনেক সময়ে জমিতেই নষ্ট হয় ফসল। মঙ্গলবার ‘ভার্চুয়াল’ প্রশাসনিক বৈঠকে একশো দিনের প্রকল্পে জমির নিকাশির হাল ফেরানোর পরামর্শই দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা কৃষি দফতরেরও দাবি, পরিকল্পনাটি রূপায়ণ হলে বহু চাষি উপকৃত হবেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বৃষ্টি খুব বেশি হচ্ছে। এ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি। ভরা প্লাবনের সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে। এখন চাষ চলছে। জল বেশি দিন জমে থাকলে ফসল পচে যাবে।’’ সেই প্রেক্ষিতে তাঁর পরামর্শ, ‘‘ডিএম, বিডিওরা সেচ দফতর, জল ভরো-জল ধরো, কৃষি দফতর, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কোঅর্ডিনেশন করে একশো দিনের কাজে পাম্প দিয়ে মাঠে জমা জল বার করুন। সব দফতর মিলে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি করতে হবে।’’ তাঁর সতর্কবার্তা, ‘‘আমপানে ক্ষতি হয়েছে। আর যেন ক্ষতি না হয়।’’

সাধারণত পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রতি বছর প্রায় ১,৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এ বার আমপানের পর থেকে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ ২,০০০ হাজার মিলিমিটারের আশেপাশে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা কৃষি-কর্তাদের। চাষিদের দাবি, শুধু এ বছর নয়, ভারী বৃষ্টি হলে জেলার অনেক এলাকাতেই জমি ডুবে যায়। জমা জলে নষ্ট হয় ফসল। মাঠের নয়নজুলি মজে যাওয়া বা নয়ানজুলির পাশে বাড়ি তৈরি হওয়াকে দায়ী করেছেন তাঁরা। নয়ানজুলির সঙ্গে সংযোগ থাকা মাঠের কাঁচা নালাগুলিও সংস্কারের অভাবে নিকাশি সমস্যায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, দাবি তাঁদের। কৃষি আধিকারিকেরাও মনে করেন, নয়ানজুলি এবং নালাগুলি সংস্কার করলে বহু এলাকাতেই মাঠ থেকে জল বার করা যাবে সহজে।

জেলা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে বহু মাঠ থেকে কাঁচা নালার মাধ্যমে দ্রুত জল বার করে দেওয়া যাবে।’’ তিনি জানান, এ বার রায়না ১ ব্লকের মিরাপোতা এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে প্রায় ছ’শো একর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হলে জমির ফসল নিয়ে চাষিদের চিন্তা থাকবে না। মন্তেশ্বর ব্লক কৃষি আধিকারিক কনক দাস বলেন, ‘‘পিপলন এলাকার একটি মাঠেও ভারী বৃষ্টি হলে জমির ফসল তলিয়ে যায়। জমা জল দ্রুত নালার মাধ্যমে কাছাকাছি নদীতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হলে সমস্যা থাকবে না।’’

জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষেরও দাবি, অতিবৃষ্টিতে মাঝারি এবং নিচু এলাকায় জল জমে যায়। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মতো কিছু কিছু ব্লকে আনাজের জমিতে জল কয়েকদিন জমে থাকলে চাষিদের ক্ষতি হয়। নিকাশি সমস্যার সমাধান অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ, দাবি তাঁর। পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি হয়ে গেলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে, বলে অনুমান তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Rain Agriculture
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE