দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় এমনই টইটম্বুর পরিস্থিতি।
একে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি। তার উপরে জোরালো নিম্নচাপের জেরে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম পরিকল্পনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্ন সভাঘরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সেই নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে সব এলাকা জলমগ্ন হতে পারে সেখান থেকে বিডিও ও আইসি-কে উদ্যোগী হয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরাতে হবে। এই কাজে জেলাশাসক নজরদারি করবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হবে। আজ, মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি মিলেছে। সৈকত পর্যটন ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি এবং নিচু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোন কোন জায়গায় বাঁধ দুর্বল রয়েছে এবং কোন কোন বাঁধ সারানোর পরেও ভেঙেছে তা দেখতে হবে। এলাকা প্লাবিত হলে কোন কোন হাসপাতালে জল ঢুকতে পারে তা-ও আগাম চিহ্নিত করতে হবে। জেলাপিছু এক জন করে পদস্থ অফিসারকে দায়িত্ব দিতে বলেন তিনি। বৈঠকেই মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে তিনি বলেন, ‘‘কাজ করতে পারবে এমন লোককেই দায়িত্ব দিতে হবে।’’ পদস্থ কর্তাদের জেলায় যেতেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্লাবন বা জলস্তর বৃদ্ধিতে ভাঙন ঠেকাতে পরিবেশ ও বন দফতরকে উপযোগী গাছ লাগাতেও বলেছেন তিনি। রাজ্যের কিছু নদীতে জলস্তর বেড়ে রয়েছে তা-ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ডিভিসি জল ছাড়ে এবং তাতেই হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সেচ দফতরের কাজের ফলে প্লাবনের পরিমাণ কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy