Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ে নয়া প্রতিষ্ঠান, পাশে সমতল

৫ সেপ্টেম্বর দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তা থেকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

শুভঙ্কর চক্রবর্তী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
Share: Save:

‘শিক্ষা হাব’ হিসাবে দেশ জুড়েই দার্জিলিংয়ের সুনাম রয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনার জন্য পাহাড়ে পরিকাঠামো নেই। তাই পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। সেই দাবি মেনে ৫ সেপ্টেম্বর দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তা থেকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই দ্রুত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, নিয়ম, পাঠ্যসূচি তৈরি, বিষয় নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন পাওয়া-সহ বিভিন্ন কাজে তাই সমতলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাহায্য নিচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য প্রয়োজন হবেই। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকেও প্রয়োজন অনুসারে সাহায্য নেওয়া হবে।’’ শিলান্যাসের পরই উপাচার্য নিয়োগ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। তারপর শুরু হবে পড়াশোনার পরিকাঠামো তৈরির কাজ।

পাহাড়ের পাশে যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সমতলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনীল ভুঁইমালি বলেন, ‘‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে আমাদের কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে তা করা হবে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য তো লাগবেই।’’ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপকুমার সরকার বলেন, ‘‘পাহাড়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাহাড়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। যে রকম সাহায্য প্রয়োজন হবে আমরা করব।’’

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘২-এফ’ এবং অধ্যাপকের পদ তৈরি-সহ আর্থিক অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘১২-বি’ ধারায় অনুমোদন পাওয়া বাধ্যতামূলক। ওই অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়ম, আইন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, অ্যাকাডেমিক বোর্ড তৈরি জরুরি। ক্লাসরুম, প্রশাসনিক ভবন, ল্যাবও পরিকাঠামোও প্রয়োজন। গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি জড়িয়ে থাকা মংপুতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। সার্বিক পরিকাঠামো তৈরির কাজ শীঘ্র শুরু করা হবে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।’’

শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর কথা মাথায় রেখে পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষার সময়সূচি তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হবে। কমিটিতে পাহাড়ের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সমতলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরও রাখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE