Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তি দুর্নীতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন জিএস গ্রেফতার

কলেজে ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ পেয়ে শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি চালাল লালবাজার। গ্রেফতার হলেন জয়পুরিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম তিতান সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৬:১৪
Share: Save:

কলেজে ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ পেয়ে শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি চালাল লালবাজার। গ্রেফতার হলেন জয়পুরিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম তিতান সাহা। বাড়ি শিশির ভাদুড়ি সরণিতে। সোমবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা নিয়ে ভর্তির অভিযোগ জানাতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনে হেল্পলাইন খোলা হয়েছিল। তাতে অন্তত ১৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই রবিবার রাতে অভিযানে নামে গুন্ডাদমন শাখা।

জয়পুরিয়া কলেজ সূত্রের খবর, তিতান রাজনীতিতে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ। সাধনবাবুর সঙ্গে তাঁর কয়েকটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। বস্তুত, জয়পুরিয়া কলেজে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার সামনে এসেছে। তিতানের গ্রেফতারের পিছনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও তৃণমূলের একাংশের দাবি। সরকার আইনজীবী দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের থেকে তিতানের নাম জানা গিয়েছে। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।

টিএমসিপি সূত্রের খবর, একদা তিতান তৃণমূল নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে সাধনবাবুর দিকে ঝোঁকেন। তার দাপট বা়ড়ায় কলেজের অন্দরে তৈরি হয় বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীও। মন্ত্রী সাধন পান্ডে অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। সকল পড়ুয়াই আমার আপন। যে দোষ করবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। স্থানীয় পুলিশ সব জানত। তাঁদের প্রশ্রয় রয়েছে।’’ মন্ত্রীর পাল্টা হিসেবে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (৩) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘কী প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন জানি না। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’’

ওই গ্রেফতারি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘‘অভিযোগ থাকলে তো গ্রেফতার হবেই। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা তো যাচাই করতে হবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, তিতান ছাড়া বাকি ১৬ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে তারা পলাতক। ওই তালিকায় নাম ছিল সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গ্রুপ-ডি কর্মী রাতুল ঘোষেরও। তাঁর বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড, ভর্তির ফর্ম সহ বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। যদিও রাতুলের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে পুলিশ এ রকম কিছুই নথি পায়নি। এছাড়া রাতুল এ সমস্ত ভর্তি চক্রের সঙ্গে যুক্ত নয়। বর্তমানে তিনি বাঁকুড়ায় রয়েছেন। একই ভাবে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে আরও কয়েকটি কলেজের একাধিক অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE