প্রতীকী ছবি।
বকেয়া বর্ধিত বেতন না-পাওয়ায় ক্ষোভ তো আছেই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংশোধিত বেতনক্রমের আদেশনামা বেরোনোর পর থেকেই ক্ষোভ বাড়ছে কলেজের অধ্যক্ষদের মধ্যে। অভিযোগ উঠছে, ওই আদেশনামায় অধ্যক্ষদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি সুবীরেশ ভট্টাচার্য বুধবার জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে যাবেন।
আদেশনামা অনুযায়ী স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের কলেজের অধ্যক্ষদের তুলনায় শুধু স্নাতক পড়ার কলেজের অধ্যক্ষদের ভাতা কম হবে। আগে সব কলেজের অধ্যক্ষ-পদই ছিল প্রফেসর-পদের সমান। এখন শুধু স্নাতকোত্তর পাঠের কলেজের অধ্যক্ষ-পদই প্রফেসর-সমতুল বলে গণ্য হবে। শুধু স্নাতক পাঠের কলেজের অধ্যক্ষ-পদ এ বার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের সমতুল হবে। অধ্যক্ষ-পদে মেয়াদ শেষ হলে অধ্যক্ষদের পড়ানোর কাজে ফিরতে হবে। তখন তাঁরা শিক্ষক হিসেবে বেতন পাবেন।
সুবীরেশবাবু অবশ্য জানান, অধ্যক্ষদের বেতন-ফারাকের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে অধ্যক্ষ-পদে নবাগতদের ক্ষেত্রে। যাঁরা এখন অধ্যক্ষ-পদে রয়েছেন, তাঁরা ‘পে প্রোটেকশন’ পাবেন। নতুন যাঁরা অধ্যক্ষ-পদে যোগ দেবেন, মেয়াদের নিয়মবিধিও চালু হবে শুধু তাঁদের ক্ষেত্রে। যাঁরা এখন অধ্যক্ষ, তাঁদের জন্য এই নিয়ম নয়। ইউজিসি-ই এমন নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। অধ্যক্ষ পরিষদ দু’টি বিষয় নিয়েই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবে। এই দু’টি নিয়মই রদ করা যায় কি না, সেটা দেখতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy