Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

লোক ঢোকানোর ‘চাপ’, সঙ্কট পানিহাটি কলেজে

নিয়ম না মেনে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য পানিহাটি কলেজের অধ্যক্ষকে ‘চাপ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। তবে অধ্যক্ষ মুক্তি গঙ্গোপাধ্যায় সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার না করায় মাঝেমধ্যেই অচলাবস্থা চলছে ওই কলেজে।

সুপ্রকাশ মণ্ডল
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৫:১৪
Share: Save:

নিয়ম না মেনে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য পানিহাটি কলেজের অধ্যক্ষকে ‘চাপ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। তবে অধ্যক্ষ মুক্তি গঙ্গোপাধ্যায় সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার না করায় মাঝেমধ্যেই অচলাবস্থা চলছে ওই কলেজে।

কলেজের পরিস্থিতি অধ্যক্ষের কাছ থেকে জেনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘কোনও চাপের কাছেই অধ্যক্ষ যেন নতিস্বীকার না করেন। নিয়ম মেনেই নিয়োগ হবে। নিয়মের বাইরে স্থায়ী পদে নিয়োগ হবে না।’’

শিক্ষামন্ত্রী নিয়ম মেনে নিয়োগের কথা বললেও টিএমসিপি আন্দোলনেই অনড়। কলেজ সূত্রের অভিযোগ, এই আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। যদিও নির্মলবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার নিজের হাতে তৈরি ওই কলেজ। কখনও কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। কিন্তু ক্রমাগত কলেজের মান যে পড়ে যাচ্ছে, তার দায় কাউকে নিতে হবে।’’ কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তিদেবী বলেন, ‘‘নিয়োগ নিয়ে বাইরের একটা চাপ রয়েছে। কলেজের অশিক্ষক কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাতেই কলেজের ক্ষতি হচ্ছে।’’

আর কলেজে ছাত্র সংখ্যা কমার বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘বেশি ছাত্র টানতে এ বার নতুন চারটি বিষয়ে অনার্স চালু করেছি। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়াও চলছে।’’

ঘটনার সূত্রপাত বছর খানেক আগে পরিচালন সমিতির একটি বৈঠকে। সেখানে সদস্যরা কয়েক জন ব্যক্তিকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের দাবি তোলেন। অধ্যক্ষকে বলা হয়, ওই ব্যক্তিরা কলেজের বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়োগপত্র দিতে হবে। তাতে মুক্তিদেবী রাজি না হওয়ায় টিএমসিপি নাগাড়ে ‘চাপ’ বাড়াতে থাকে বলে অধ্যক্ষের অভিযোগ। সম্প্রতি ন’টি স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য অর্থ দফতর অনুমোদন করার পরে ফের টিএমসিপি ‘চাপ’ বাড়াতে নাগাড়ে কলেজে ধর্না, বিক্ষোভ চালাচ্ছে। টিএমসিপি অবশ্য নিয়োগের জন্য ‘চাপ দেওয়া’র কথা স্বীকার করতে চায়নি। কলেজের টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি ভূষণ মালাকারের বক্তব্য, ‘‘নিয়োগ নিয়ে কী গোলমাল হচ্ছে, জানি না। তবে অধ্যক্ষ সরাসরি বিজেপির কথায় চলছেন। কলেজে কোনও পরিকাঠামো নেই। সেই জন্য কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রতি বছর কমছে। আমরা সেই জন্য লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE