ডব্লিউবিসিএসের পর পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ উঠল।
গৌরাঙ্গ কাপাট নামে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থী তথ্যের অধিকার আইনে ২০১৬ এবং ’১৭ সালের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন। জবাবে পূর্ত দফতরের রাজ্য জন তথ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল শাখায় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের অসংরক্ষিত শূন্য পদ ছিল ১৮২। কিন্তু ওই বছর পরীক্ষা থেকে ওই পদে নিয়োগ করা হয় ১৯২ জনকে। ১৮২টি শূন্য পদে কী ভাবে অতিরিক্ত ১০ জন চাকরি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। পূর্ত দফতরের রাজ্য জন তথ্য আধিকারিকের চিঠি থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল শাখায় শারীরিক প্রতিবন্ধী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের শূন্য পদ ছিল ১১। কিন্তু এক জনকেও নিয়োগ করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে পরের বছর ওই শূন্য পদ কমে যাওয়ার কথা নয়। অথচ, ২০১৭ সালে ইলেকট্রিক্যাল শাখায় শারীরিক প্রতিবন্ধী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের শূন্য পদ ছিল মাত্র একটি। এই ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ তুলছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
পিএসসি-র চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। বিস্তারিত না জেনে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ ২০১৬ এবং ’১৭ সালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা বাতিল করে নতুন করে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন পরীক্ষার্থীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy