ইউজিসি-র নির্দেশিকা না-মেনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল করলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে ইউজিসি-র ক্ষমতা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব অমিত খারে। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যুগ্মতালিকাভুক্ত বিষয়। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অগ্রাধিকার পাবে তাঁর বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে। তাই রাজ্যগুলি সেই নির্দেশ মানতে আইনত বাধ্য বলেও তিনি জানান।
প্রথমে ইউজিসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যের উপরে ছেড়েছিল। পরে তা সংশোধিত করে পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য আপত্তি করেছে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউজিসি-র পূর্বেকার গাইডলাইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার যে অ্যাডভাইজ়রি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে পাঠিয়েছে সেটাই বহাল রাখতে। রবিবার ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ইউজিসি ৬ জুলাই এর পরামর্শ বাতিল করে ২৯ এপ্রিলের দেওয়া পরামর্শ মোতাবেক কাজ করুক। এটাই আমাদের অনুরোধ। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ছাত্রদের ও শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবন রক্ষা করাই তাঁদের প্রধান কাজ।
রাজ্যের উপাচার্য পরিষদ ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসে স্থির করেছে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসিকে জানাবেন, ২৯ এপ্রিলের গাইডলাইন মেনে যে অ্যাডভাইজ়রি রাজ্য সরকার তাদের পাঠিয়েছে, তা-ই বহাল থাকুক। কারণ ওই অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী তাঁরা মূল্যায়নের বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন এবং পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে এখন নেই। সে হোক অনলাইন অথবা অফলাইন পরীক্ষা। এ দিন উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা ইউজিসিকে এই চিঠি দিচ্ছি ইউজিসি-র বিধি ভাল করে দেখে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিও ভাল করে দেখেছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার আছে। পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। এর সঙ্গে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অথবা কর্মসমিতি রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy