বিধাননগর পুর নিগমের শনিবারের নির্বাচনে ধুন্ধুমার হাঙ্গামা এবং রক্তপাতের জন্য শাসক দলই কাঠগড়ায়। আর সেই তৃণমূলেরই অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানকার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তীকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। অথচ সাংবাদিক নিগ্রহ-সহ হাঙ্গামার ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
দেবরাজের গ্রেফতারির জেরে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে কৈখালি এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দেবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শনিবার ভোট চলাকালীন তিনি দলবল নিয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যব্রত সাঁতরার প্রাণনাশের চেষ্টা চালান। সত্যব্রতের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দেবরাজকে।
ওই ভোটে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি দেখেছে গোটা রাজ্য। কংগ্রেসের দাবি, একমাত্র সাত নম্বর ওয়ার্ডেই বারবার চেষ্টা চালিয়েও কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তাপস মজুমদার বলেন, ‘‘পুরভোটকে কেন্দ্র করে শাসক দলের গুন্ডারা অন্য সব জায়গায় বুথ দখল করে নিলেও একমাত্র এই ওয়ার্ডে দাঁত ফোটাতে পারেনি।’’ তাপসবাবুর দাবি, সেই জন্যই এই অভিযোগ তুলে দেবরাজকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।
শনিবার বিকেলে কৈখালিতে গুলি চলে, আগুন লাগানো হয় কয়েকটি মোটরবাইকে। রাতেই গ্রেফতার করা হয় দেবরাজকে। পরে তিনি মুক্তি পান। রবিবার রাতে ফের তাঁর গ্রেফতারিতে শাসক দলের পূর্ব পরিকল্পনার ছায়াই দেখছে বিরোধী শিবির। বিরোধীদের বক্তব্য, সত্যব্রত মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর ঘনিষ্ঠ। শনিবার ভোট শেষ হতেই সত্যব্রতকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ণেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, কংগ্রেসিরা সকাল থেকেই সাত নম্বর ওয়ার্ডে ভোট করতে দিচ্ছিল না। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন সত্যব্রত। তার পরেই ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল অফিসে ঢুকে সত্যব্রতের উপরে হামলা চালায় কংগ্রেসি গুন্ডারা। আহত হন সত্যব্রত-সহ ১৭ জন তৃণমূলকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy