—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব ফের প্রকট কংগ্রেসে। বিধান ভবনে বিক্ষোভের জেরে অভিযোগ পৌঁছল এআইসিসি পর্যন্ত। ভোটের আগে দলীয় কোন্দল যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন এআইসিসি-র দুই নেতা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠক চলাকালীন বুধবার বিধান ভবনে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন হুগলি জেলা কংগ্রেসের কিছু নেতা-কর্মী। বিধান ভবনে মান্নান-বিরোধী পোস্টারও সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই জেলা রাজনীতিতে সোমেনবাবুর ‘অনুগামী’ বলে পরিচিত, এমনই দাবি কংগ্রেসের একাংশের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিক্ষোভের সময়ে দলের দফতরেই বৈঠকে ছিলেন। প্রদেশ নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী নেমে এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত’ বিরোধী দলনেতা এআইসিসি-কে চিঠি দিয়ে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন, বামেদের সঙ্গে আসন-রফার আলোচনায় তিনি আর দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ডাকে বিধান ভবনে বৈঠকেও যাবেন না।
ঘটনার সময়ে বিধান ভবনে ছিলেন বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ। পরে তাঁর সঙ্গে সবিস্তার কথা হয় মান্নানের। এআইসিসি-কে বিরোধী দলনেতা চিঠি পাঠানোর পরে গৌরবের সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহও তাঁর সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন। আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর কথা জানিয়েছেন। মান্নান তাঁকে বলেছেন, ভোটের মুখে তিনি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসের ‘অস্বস্তির কারণ’ হতে চান না। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরেই তাঁর ‘নিরাপত্তা’ না থাকলে দলের বৈঠকে তিনি যাবেন কেন? অতীতে দলেরই নেতার অনুগামীদের হাতে বরকত গনি খান চৌধুরী, প্রণব মুখোপাধ্যায়দের হেনস্থা হওয়ার ঘটনাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
সোমেনবাবু অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘মান্নানের ক্ষোভ সঙ্গত। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে কেউ অসম্মানিত হলে তার দায়-দায়িত্ব সভাপতি হিসেবে আমার উপরেই এসে পড়ে। ঘটনার কড়া নিন্দা ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। কলকাতায় কাল (শুক্রবার) ফিরে দেখব, কী করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy