আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
তিনি দল বদলাতে চলেছেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। তাঁকে দলে রাখার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। জল্পনা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। যিনি আগেই কংগ্রেস ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। ডালুবাবুদের বক্তব্য, বিজেপির মোকাবিলায় ‘মহাজোট’ গড়ে তোলার বিষয়ে পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
বিধানসভায় এসে এ দিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলেন ডালুবাবু। দিল্লিতে আজ, শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন তিনি। বিকালে দিল্লির উড়ান ধরতে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে বিরোধী দলনেতাকে জানান ডালুবাবু। কিন্তু তার পরেই হঠাৎ চলে যান পার্থবাবুর বাড়িতে! পরে ডালুবাবু বলেন, ‘‘একটা মহাজোট গড়ার চেষ্টা চলছে। তা-ই নিয়েই কথা হয়েছে।’’ মইনুলের দাবি, ‘‘রাজ্য স্তরের বিষয় এটা নয়। জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা নিয়ে কথা হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, মালদহে বরকত গনিখানের নামে কলেজের কিছু সমস্যা নিয়েও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা ছিল। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেও পার্থবাবুর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার চার কংগ্রেস বিধায়ক। জুলাইয়েই যে কোনও দিন তাঁরা শাসক দলে যোগ দেবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
পার্থবাবুর বক্তব্য, ডালুবাবুরাই কথা বলতে চেয়েছিলেন। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, মালদহেও কংগ্রেস যে আর নিজের শক্তিতে লোকসভা আসন ধরে রাখার জায়গায় নেই, তা বুঝেই কি ডালুবাবুর এমন পদক্ষেপ? সাংসদ অবশ্য বলেন, ‘‘বাংলায় আমাদের সব সাংসদের হয়েই কথা বলতে গিয়েছিলাম। বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকেই জোট বাঁধতে হবে।’’ আরও প্রশ্ন, বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মহাজোটে’র বিষয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনায় ডালু বা মইনুল কেন? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সাফ কথা, ‘‘এমন দায়িত্ব কংগ্রেস কাউকে দেয়নি। ওঁরা দলের কাছ থেকে অনুমোদনও নেননি।’’ যে ভাবে তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে ডালুবাবু পার্থবাবুর কাছে চলে গিয়েছেন, তাতে মান্নানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা কাণ্ডকারখানা হচ্ছে, তাতে মালদহে বিজেপিরই সুবিধা হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy