বন্ধ শুরু হয় সকাল ৬টাতেই। সকাল থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। ১০টা নাগাদ দলীয় সাংসদ মৌসম নুর ও আবু হাসেম খান চৌধুরী যোগ দিলেন মিছিলে। এরই মধ্যে চলছিল জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। সেখানে দলের দুই সদস্য ভোট দিয়ে সমর্থন করলেন শাসক দলকে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাদের দুই সদস্য যেচেই ভোট দিয়েছেন শাসক দলকে। ফলে রাজনৈতিক জল্পনার উত্তাপ বেড়েছে। জেলা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দলের নিচুতলাতেও গুঞ্জন বাড়ল।
এ দিন কংগ্রেস সদস্যের সহায়তায় ৩১-৬ ভোটে জেতে শাসক দল। তৃণমূলের গৌরচন্দ্র মণ্ডল সভাধিপতি ও সহকারী পদে চন্দনা সরকার নির্বাচিত হন। বিজেপি প্রার্থী নিজেদের ছ’টি ভোটই পেয়েছেন। তৃণমূল সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি পদে নাম প্রস্তাব করে। বিজেপির তরফে সভাধিপতি পদে উজ্জ্বল চৌধুরী ও সহকারী পদে সাগরিকা সরকার বিশ্বাসের নাম পেশ হয়। দু’টি প্যানেল জমা পড়ায় ভোটাভুটি হয়। ৩১-৬ ভোটে তৃণমূলের গৌরচন্দ্র মণ্ডল সভাধিপতি ও সহকারী পদে চন্দনা সরকার নির্বাচিত হন। কিন্তু আগের দিন পর্যন্ত ঠিক ছিল, কংগ্রেস ভোটদানে বিরত থাকবে। কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছিল, বোর্ড গঠনে ভোটাভুটি হলে বিজেপিকে ঠেকাতে আমরা যেন তৃণমূলকে সমর্থন করি।’’ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘বিজেপিকে রুখতেই মনে হয় কংগ্রেসের দু’জন আমাদের সমর্থন করেছেন।’’ বোর্ড গঠনের পর নিচুতলার নেতাকর্মীদের অনেকেই নিশ্চিত, সাংসদ মৌসম নুর ও আবু হাসেম খান চৌধুরীর তৃণমূলে যোগদানের আর দেরি নেই। এ দিন বন্ধে শীর্ষ নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় এই ধারণা জোরদার হয়েছে। যদিও মৌসম বলেন, ‘‘মানুষ অনেক কিছুই বলছেন। আমরা কংগ্রেসেই রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy