প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে চোপড়ায় যে রাজনৈতিক হানাহানির আবহ তৈরি হয়েছিল, তা অব্যাহত এখনও। আর সেই হানাহানির মাঝে পড়েই গুলিবিদ্ধ হল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী।
শনিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার লক্ষ্মীপুর চাতরাগচ গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ শাসক তৃণমূল এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। আর সেই লড়াইয়ের মাঝেই পড়ে যায় রূপসা খাতুন। তার শরীরে একাধিক জায়গায় ছররা গুলি লাগে। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চোপড়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জাকির আবেদিনের অভিযোগ, এ দিন এলাকার অধিকাংশ নেতাই ২১ জুলাই উপলক্ষে কলকাতায় ছিলেন। সেই সুযোগে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সামিরুলের বাড়িতে হামলা চালায় কংগ্রেস কর্মীরা। জাকিরের অভিযোগ, আর সেই হামলার সময়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায়ের পাল্টা অভিযোগ, শাসক দলের লোকজনই তাঁদের প্রার্থী মহম্মদ আবুলের ছেলেকে আটকে রেখেছিল। সেই নিয়ে বচসা হয়। কিন্তু গুলি চলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।
আরও পড়ুন- বৃষ্টি মাথায় করে সাইকেল দেওয়া ‘দিদি’কে দেখে গেল অনির্বাণ
আরও পড়ুন- সংসদে পথ দেখাবে তৃণমূল, শহিদ মঞ্চে ঘোষণা মমতার, বাংলায় ‘একলা চলো’
দাসপাড়া, লক্ষ্মীপুর ও ঘ্রিণিগাও— এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে চোপড়া ব্লক। গত কয়েক মাস ধরেই সেখানে রাজনৈতিক হানাহানির আগুন জ্বলছে। সেই হানাহানির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক কংগ্রেসকর্মী। একই রকম ছররা গুলির আঘাতে দৃষ্টি হারিয়েছেন অন্য এক কংগ্রেস কর্মী। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর রূপসার অবস্থা স্থিতিশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy