হাওড়া পুরসভায় অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
এমনিতেই নিয়মিত বেতন পেতেন না তাঁরা। তার উপরে এসে পড়েছে খাঁড়ার ঘা! কাজের দিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে হাওড়া পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় এক হাজার অস্থায়ী পুরুষ ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ, পুর কমিশনার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সনকে ঘেরাও করে রাখা হয় কয়েক ঘণ্টা। ভাঙচুরও চালানো হয়। পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পুরসভায় চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল পুরসভায়। মূলত প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ওই অস্থায়ী কর্মীরা। সারা মাসই তাঁদের কাজ থাকত। রাজ্য সরকার ও পুরসভা মিলিয়ে দৈনিক ২৫৩ টাকা মজুরি দেওয়া হত ওই অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীদের। বাসন্তী পোল্লে নামে তাঁদের এক সুপারভাইজার জানান, প্রতি বছর রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য ক্যালেন্ডার পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী তৈরি হয় কাজের রুটিন। এত দিন তেমনই চলছিল। কিন্তু এ বছর কাজের যে-রুটিন এসেছে, তাতে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাসে ১০ দিনের কাজের কথা বলা রয়েছে।
কাজের দিন ছাঁটাইয়ের কথা জানতে পেরেই হাজারখানেক অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সটান পুর কমিশনার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বিজিন কৃষ্ণের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। দেওয়ালে লাগানো ছবির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। টব উল্টে ভেঙে দেন কেউ কেউ। কোনও সমাধানসূত্র না-পেয়ে শেষে পুরসভার সামনের রাস্তা মহাত্মা গাঁধী রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। বাকিরা পুর কমিশনারকে ঘিরে বসে থাকেন। খবর পেয়ে প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র ও ভাস্কর ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি পুরসভায় গিয়ে বিজিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে বিক্ষোভকারীদের জানানো হয়, এপ্রিল ও মে মাসে তাঁদের ৩০ দিনেরই বেতন দেওয়া হবে। তবে জুন থেকে কী হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে প্রশাসকমণ্ডলীর আগামী বৈঠকে। কর্তাদের এই আশ্বাস পাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা পরে চলে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy