Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিশেষজ্ঞ নিয়োগে বিতর্ক

১৩ এপ্রিল সঙ্গীতা ভট্টাচার্যকে ওই পদে নিয়োগ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৯
Share: Save:

তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা। এবং প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী। এ-হেন এক সত্তরোর্ধ্ব চিকিৎসককে লক্ষ টাকার পারিশ্রমিকে ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে অ্যানাস্থেশিয়ার ‘বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা’ হিসেবে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই চুক্তিভিক্তিক পদে তাঁর নিয়োগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হয় চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স।

১৩ এপ্রিল সঙ্গীতা ভট্টাচার্যকে ওই পদে নিয়োগ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘বহির্বিভাগে বিশেষজ্ঞ অ্যানাস্থেটিস্টের কী কাজ! তিনি কি বহির্বিভাগে রোগীকে অজ্ঞান করবেন! বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

সঙ্গীতাদেবীর স্বামী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও। সঙ্গীতাদেবী সেখানকার এথিক্স কমিটির প্রধান। অ্যানাস্থেটিস্ট বিভাগের প্রধানও ছিলেন। হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের জন্য রোগী তৈরি কি না, তার জন্য অ্যানাস্থেটিস্টের পরামর্শ প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দরকার হয় প্রি-অ্যানাস্থেশিয়া চেক আপে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বাম প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনের সম্পাদকের কথায়, ‘‘এক জন প্রফেসর ছাত্র পড়িয়ে, চিকিৎসা করে সপ্তাহে ন্যূনতম ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করেও লক্ষ টাকা মাইনে পান না। সেখানে লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই বিশেষজ্ঞ নিয়োগ অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।’’ কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক জানান, প্রি-অ্যানাস্থেশিয়া চেক আপে প্রফেসরের থাকা বাধ্যতামূলক নয়। জটিল কিছু হলে সিনিয়রদের পরামর্শ নিলেই হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যানাস্থেটিস্ট অঞ্জুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অ্যানাস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট হলেই প্রি-অ্যানাস্থেশিয়া চেক আপ সম্পর্কে বলতে পারবেন।’’

সঙ্গীতাদেবী বলেন, ‘‘টাকার জন্য কিছু করছি না। নামমাত্র পারিশ্রমিকে এখানকার মানুষের কথা ভেবে এই কাজ করছি।’’ আর রুদ্রবাবু বলেন, ‘‘নিউরোসার্জন, কার্ডিও থোরাসিক ভাসকুলার সার্জন হিসেবে আরও দুই চিকিৎসককে একই সঙ্গে নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে কাজে যোগ দেওয়ায় সমস্যা কোথায়?’’

এই বিতর্কে ‘প্রভাবশালী যোগ’ প্রসঙ্গে সুপার বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন যাঁদের নাম পাঠিয়েছে, তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ পালন করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Controversy North Bengal Medical
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE