বিশ্বভারতী।—ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন হতে চলেছে চলতি নভেম্বরে। এই নিয়ে রবিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক প্রস্ত বৈঠক করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়-সহ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও আধিকারিক।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক সমাবর্তন হওয়ার রীতি রয়েছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই রীতি বিশ্বভারতীতেও ছিল। কিন্তু, মাঝে অনেকটা সময় বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন না। তাই সমাবর্তন প্রতি বছর করা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালের মে মাসে বিশ্বভারতীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের তত্ত্বাবধানে সমাবর্তন হয়েছিল। সেখানে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি। ওই দিনই বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবর্তনে ছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত বছরই অধ্যাপক সভা-সহ নানা মহল থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল, এ বছর থেকে যেন বার্ষিক সমাবর্তন করা হয়।
সে কথা মাথায় রেখে এবং অনেক দিন পরে বিশ্বভারতী স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ বার থেকে নিয়মিত ভাবে বার্ষিক সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই বিশ্বভারতী সূত্রের খবর। সেই মতো রবিবার বার্ষিক সমাবর্তন নিয়ে বৈঠক হয়। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘আমরা চলতি বছর সমাবর্তন ১১ নভেম্বর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই নিয়েই রবিবার প্রাথমিক ভাবে একটি বৈঠক করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।’’
বিশ্বভারতীর রীতি অনুযায়ী যে স্থানে সমাবর্তন হয়ে এসেছে, এ বারও সেই আম্রকুঞ্জে সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে। বহু সম্মাননীয় ব্যক্তি, প্রাক্তনীকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বার্ষিক সমাবর্তন হওয়ায় খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মহল। বিশ্বভারতীর ছাত্রী পূজা দাস, সৌভিক মণ্ডলরা বলেন, ‘‘স্থায়ী উপাচার্য পাওয়ার পরে আগের মতো বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে জেনে আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy