বিদ্যুতের তার মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারের কাজও শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই। কিছু হেরিটেজ ভবন অবশ্য রয়েছে ব্যক্তিগত মালিকানায়। সেগুলির কাজ কী ভাবে শুরু করা যায়, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। সব মিলিয়ে রাজ-নগরকে হেরিটেজ ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুনছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ রাখছেন নিয়মিত। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক তিনি ওই কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে নির্দেশ দেন আধিকারিকদের। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, ‘‘হেরিটেজ বিষয়ক কাজ জোর গতিতে চলছে।’’
রাজনগর কোচবিহারকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবিকে বছর খানেক আগে সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই খড়্গপুর আইআইটি-র স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের চার সদস্যের দল কোচবিহার শহর ঘুরে দেখেন। তাঁরা একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেন রাজ্যের হেরিটেজ বিষয়ক কমিটির কাছে। এর পরেও আরও কয়েক দফায় বিশেষজ্ঞ দল কোচবিহার ঘুরে যান। তাঁরা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-সহ একাধিক সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলেন। ওই দলের পক্ষ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়, কোচবিহারকে হেরিটেজ ঘোষণার অজস্র উপাদান রয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শও দেন। শহরের সব রাস্তার উপরে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং থেকে শুরু করে সাগরদিঘির পাড়ের বহুতল নিয়েও আপত্তি তোলেন তারা। সেই সঙ্গে সংস্কারের অভাবে ধুঁকতে থাকা হেরিটেজ বিল্ডিংগুলির বেহাল দশা ঘোচানোর পরামর্শ দেন।
সেই হিসাবেই কাজ শুরু হয়েছে শহরে। ইতিমধ্যেই শহর থেকে হোর্ডিং অনেকটাই সরানো হয়েছে। বিদ্যুতের তার মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। হেরিটেজ বিল্ডিংগুলির অধিকাংশ সরকারের হাতে রয়েছে। সেগুলি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। বাসিন্দাদের দাবি, কিছু কিছু হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের পাশে বহুতল তৈরি করা হচ্ছে। সাগরদিঘির একাংশ জুড়ে ওই অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ। যা হেরিটেজ ঘোষণার ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে। এ নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মত বাসিন্দাদের। কিছু হেরিটেজ বিল্ডিং রয়েছে যেগুলির অবস্থা খুব খারাপ। তার মধ্যে একটি ভবন ভাঙার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, হেরিটেজ কমিটির ওই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “এই মুহূর্তে কিছু বাড়ি সংস্কার প্রয়োজন। তার মধ্যে রয়েছে সাবিত্রী লজ। আশা করছি খুব দ্রুত হেরিটেজ শহরের তকমা পাবে কোচবিহার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy