এখানে-ওখানে ক্রয় কেন্দ্র খুলেও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, ধান কেনার জন্য দফায় দফায় সচিবদের পাঠাতে হচ্ছে জেলায় জেলায়। চাল সংগ্রহের রাস্তা মসৃণ করতে এ বার সমবায় সমিতির মাধ্যমে আরও ১০০ নতুন চালকল খুলতে চাইছে সমবায় দফতর। সেই জন্য খাদ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে তারা।
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের আশা, সমবায় সমিতিগুলির হাতে বেশ কিছু চালকল থাকলে ধান সংগ্রহে আর সমস্যা হবে না। রেশন সামলাতে প্রতি বছর যত চাল লাগে, সেটা সহজেই চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সমবায় দফতরের খবর, কমবেশি সাড়ে পাঁচ হাজার প্রাথমিক কৃষি উন্নয়ন সমিতির মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে শ’খানেক সমিতিকে, যাদের আর্থিক ভিত পোক্ত। চালকল তৈরির জন্য তাদের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। খাদ্য দফতর সর্বাধিক ৭৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিতে পারে। বাকি টাকা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কৃষি সমবায় সমিতিগুলিকে। জমি থাকলে একটি চালকল তৈরিতে দু’-আড়াই কোটি টাকা খরচ হয়।
খাদ্য দফতর বছরে গড়ে ৩৫ লক্ষ টন চাল সংগ্রহ করে। তারা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান তো কেনেই। কৃষি সমবায়ের মাধ্যমেও ধান কেনা হয়। কৃষকদের পরিচয়পত্র দেখে এ বার সরাসরি ধান কিনতে নেমে সমস্যায় পড়েছে খাদ্য দফতর। বিভিন্ন কৃষি সমবায় চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চালকলে পাঠায়। চালকল সেই চাল দেয় সরকারকে। সমবায় দফতরের যুক্তি, সমবায় সমিতি নিজেরাই
চালকল চালালে তারা সরকারের হয়ে ধান কিনতে পারবে, তেমনই সেই ধান থেকে চাল তৈরি করে পাঠানো যাবে রেশনে। আবার বেসরকারি চালকলগুলির উপরেও চাপ সৃষ্টি করা যাবে। ‘‘খাদ্য দফতর সাহায্য করলে কৃষি সমবায় সমিতি বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে,’’ বললেন সমবায়মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy