এই নার্সিংহোমকেই কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। নিজস্ব চিত্র।
করোনা-আক্রান্ত ভর্তি ছিলেন কোনও ধরনের আইসোলেশন ছাড়াই। তার জেরে গোটা নার্সিংহোমকেই কোয়রান্টিনে পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর। আগামী দু’সপ্তাহ ওই নার্সিংহোমের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা বাইরে বেরতে পারবেন না। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন কোনও রোগীকেও ছাড়া যাবে না। রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার চন্দননগরের ওই নার্সিংহোমে গত ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত শেওড়াফুলির বাসিন্দা ৫৯ বছরের প্রৌঢ় জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। তখনও তাঁর কোভিড-১৯ টেস্ট হয়নি। নার্সিংহোমের চিকিৎসায় ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায়, ২৮ মার্চ তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দিল্লির মসজিদে জমায়েত, কোয়রান্টিনে পাঠানো হল ২০০০ জনকে
আরও পড়ুন: ‘গোষ্ঠী’ নয়, ‘স্থানীয়’ সংক্রমণের স্তরে ভারত, লকডাউনের সুফল মিলছে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
গোটা বিষয়টি ওই বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হলে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরি করা হয় কারা ওই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে ওই নার্সিংহোমের হদিশ মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই যে চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করেছিলেন তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে কোয়রান্টিনে রাখা হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় নার্সিংহোমের বাকি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীদের নিয়ে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘ছোট নার্সিংহোম। ফলে যে চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করেছিলেন তাঁর সংস্পর্শে অনেকেই এসেছেন।” তাই গোটা নার্সিংহোমকেই আইসোলেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ১৪ দিন কোনও নতুন রোগী ভর্তি করা যাবে না। নার্সিংহোমে থাকা রোগীরাও ছুটি পাবেন না। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য কর্মীরাও নার্সিংহোমের বাইরে যেতে পারবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy