লকডাউনের ফলে বন্ধ দোকান। ছবি পিটিআই।
আইআইটি-চেন্নাইয়ের প্রাক্তনী, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার-গবেষক। লন্ডন থেকে দিল্লি, কলকাতা হয়ে ইম্ফলে স্বগৃহে ফিরলেন। কিন্তু কোথাও স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়ল না তাঁর রোগের উপসর্গ! কলকাতায় দু’রাত কাটিয়ে তিনি মণিপুরে ফেরার পর জানা গেল, ওই গবেষক-ছাত্রীই উত্তর-পূর্বের প্রথম করোনা আক্রান্ত।
মণিপুর সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে লন্ডন থেকে ১৯ মার্চ তিনি দিল্লি আসেন। সেখান থেকে বিমানে কলকাতা আসেন ওই একই দিনে। মেয়েটির ভাই আটলান্টা থেকে ১৯ মার্চ কাতার হয়ে এসে পৌঁছন কলকাতায়। তাঁরা একসঙ্গে কলকাতার একটি হোটেলে ওঠেন। ২১ মার্চ দিদি ও ভাই আগরতলা হয়ে এয়ার এশিয়ার বিমানে পৌঁছন ইম্ফলে।
আইআইটি-চেন্নাইয়ের ওই প্রাক্তনীর বাবা-মা যথাক্রমে ইম্ফলের মডার্ন কলেজ ও জিপি উওমেন্স কলেজের শিক্ষক। এমন পরিবার মেয়ের অসুস্থতার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানোর প্রয়োজনই মনে করেনি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল মেয়ের সর্দি-কাশির। আশ্চর্যের কথা, এত গুলি বিমানবন্দরের কোথাও স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়েনি মেয়েটির অসুস্থতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল বিকেলে পশ্চিম ইম্ফলের থংমেইবাঁধ এলাকা থেকে পরিবারটিকে তুলে নিয়ে যায়। আজ সকালে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে পরীক্ষা করে ওই ছাত্রীর নমুনায় কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফের নিশ্চিত হতে নমুনা পুণেয় পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে হাসপাতালের অন্য সব বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন জানায়, মেয়েটির বোনও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছে। ভাই বাড়িতেই কোয়রান্টিনে রয়েছে।
কলকাতা-আগরতলা-ইম্ফল, এয়ার এশিয়ার এই বিমানে তরুণীর ৭৩ জন সহযাত্রী আগরতলায় নেমেছেন। কয়েক জন ইম্ফলও গিয়েছেন। আগরতলায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই তরুণীর কাছাকাছি বসেছেন এমন ১০ জন যাত্রীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকা ত্রিপুরা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দরের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, তরুণী বিমানের ২৩ নম্বর সারিতে বসেছিলেন। তাঁর পাশের আসনে বসা যাত্রীও আগরতলায় নেমেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন জনকে বাড়িতে কোয়রান্টিন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy