জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে বন্দরে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
দিল্লি থেকে ফিরে বন্দরে কাজে এসেছিলেন নিজামউদ্দিনের করোনাআক্রান্ত। তাই বন্দর জুড়ে চলল জীবাণুনাশক করার কাজ। প্রায় গোটা বন্দরকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে খবর। কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার পরেও রবিবার বন্দরে কাজে যোগ দিলেন না কোনও শ্রমিক। দিন দুয়েক ধরে বন্ধ বন্দরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ।
প্রসঙ্গত, দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা হলদিয়া বন্দরে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে ‘কোভিড ১৯’ পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরই আতঙ্কে শুক্রবার কাজ বন্ধ করে দেন বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা। শুধুমাত্র কিছু পণ্যকে অতি আবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণার পরেই সেই পণ্যগুলি বন্দরে লোডিং আনলোডিং-এর কাজ চলছিল। শুক্রবার ওই ইঞ্জিনিয়ারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার খবর জানাজানি হতেই সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা।
দিল্লি থেকে ফেরার পরে ওই ব্যক্তি হলদিয়া বন্দরে কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আসায়, ওই ব্যক্তিকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শনিবার বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে শ্রমিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যে, বন্দরকে পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। আপনারা কাজে যোগ দিন। কিন্তু তারপরেও শ্রমিকেরা সেই আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এ দিন শ্রমিকদের আতঙ্ক কাটাতে অন্য ভাবে উদ্যোগী হন। গত শুক্রবার থেকে বন্দরকে যে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে রবিবার তার ভিডিও বেশিরভাগ শ্রমিকের মোবাইলে পাঠানো হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা এতে শ্রমিকদের আস্থা ফিরবে। সোমবার থেকে তাঁরা ফের কাজে যোগ দেবেন।
বন্দরের আধিকারিক অভয় মহাপাত্র বলেন, ‘‘বন্দর এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে এরকম ছবি শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি সোমবার থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy