Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Beleghata ID

বেলেঘাটা আইডি তো ‘দারুণ’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় দল

প্রথম দফায় করোনা নিয়ন্ত্রণের হাল দেখতে রাজ্যে আসা অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় দল আইডির দোরগোড়ায় পৌঁছেও ভিতরে যায়নি।

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৩:৪৬
Share: Save:

করোনা-আবহে কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপড়েনের মূলে রয়েছে আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান। আর হাতের কাছে তথ্য পেয়েই বুধবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পিঠ চাপড়ে দিল কেন্দ্রীয় দল। তথ্যের গেরোয় স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারের বদলির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই মাপকাঠিতে কেন্দ্রীয় দলের কাছে রাজ্যের অন্যতম কোভিড হাসপাতালের বাহবা পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১১৭ (কলকাতার ৮৫, উত্তর ২৪ পরগনার ১৩, হাওড়ার সাত, হুগলির সাত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’জন এবং পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুরের এক জন)। করোনা-আক্রান্ত আরও ন’জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৫। কো-মর্বিডিটিতে ৭২ জনের মৃত্যু ধরে মোট মৃত ২০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ৯০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থতার হার ২৮.১৬% থেকে হয়েছে ৩০.৬৬%। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশ এর পিছনে নয়া ডিসচার্জ নীতির ভূমিকা দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে নতুন ছুটি-নীতি বলবৎ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তার পরেই সুস্থতার হারে বদল দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানান, করোনা জনগোষ্ঠীতে কী ভাবে নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে, তা জানতে একটি সমীক্ষা (‘সেন্টিনেল সার্ভে’) করা হবে।

প্রথম দফায় করোনা নিয়ন্ত্রণের হাল দেখতে রাজ্যে আসা অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় দল আইডির দোরগোড়ায় পৌঁছেও ভিতরে যায়নি। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় দলের যে-দুই সদস্যাকে রাজ্যের ‘করোনা-পারফরম্যান্স’ মূল্যায়নের ভার দেওয়া হয়, তাঁরা এ দিন আইডিতে যান। পরিদর্শনের পরে আইডি-কর্তৃপক্ষকে একটি নোট দেন দুই চিকিৎসক অপরাজিতা দাশগুপ্ত ও লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, নোটে লেখা হয়েছে, বেলেঘাটা আইডি এক কথায় ‘দারুণ’। কর্তৃপক্ষ চাওয়া মাত্রই সব তথ্য দেন। সবই আইডি-কর্তৃপক্ষের নখদর্পণে ছিল। রোগীদের যত্নআত্তি, পরিকাঠামো, সর্বোপরি ব্যবস্থাপনা দেখে তাঁরা ‘অভিভূত’, লিখেছেন দুই সদস্যা। এই প্রেক্ষিতে এমআর বাঙুর হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রথম কেন্দ্রীয় দলের পত্রাঘাত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যদিও বাঙুরের পরিষেবার মান উন্নত হয়েছে বলে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় দলের অভিমত।

আরও পড়ুন: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও বাড়ছে উৎসব অগ্রিম, বোনাসও

গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে এক সিআইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর পরে ৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি প্রবীণ চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক, তবে স্থিতিশীল।

আরও পড়ুন: গ্রামবাংলার অর্থনীতির জাগরণ ঘটাতে নতুন প্রকল্প ঘোষণা মমতার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE