রাজ্য প্রশাসন থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, যে হারে দেশের অন্য প্রান্ত থেকে শ্রমিকেরা ঘরে ফিরছেন, বিশেষ করে করোনা কবলিত মহারাষ্ট্র ও গুজরাত থেকে, তাতে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার বাড়তে বাধ্য। ছবি: এএফপি।
এক দিনে ৯১। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে এক ধাক্কায় এতটাই বাড়ল করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। যা চিন্তায় ফেলেছে জেলা প্রশাসনগুলিকে। তারা এর জন্য মূলত দায়ী করছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাকে।
রাজ্য প্রশাসন থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, যে হারে দেশের অন্য প্রান্ত থেকে শ্রমিকেরা ঘরে ফিরছেন, বিশেষ করে করোনা কবলিত মহারাষ্ট্র ও গুজরাত থেকে, তাতে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার বাড়তে বাধ্য। গত কয়েক দিন ধরে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি এসে ঢুকছে কোচবিহার, মালদহ, এনজেপি-র মতো স্টেশনগুলিতে।
রোজ ঘরে ফিরছেন শ’য়ে শ’য়ে শ্রমিক। থার্মাল স্ক্রিনিং করে তাঁদের বেশির ভাগকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নজরদারির অভাব ছিল। লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেও দেরি হয়েছে বহু ক্ষেত্রে। ফলে এক সময় যে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ঊর্ধ্বমুখী হবে, তা আশঙ্কা করেছিলেন অনেক চিকিৎসক।
উত্তরের লাফ
জেলা আক্রান্ত
• মালদহ ১১
• উত্তর দিনাজপুর ৩৮
• দার্জিলিং ৭
• জলপাইগুড়ি ৩
• কোচবিহার ৩২
তা সত্যি করে শুক্রবারের হিসেবে দেখা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহে, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে সংক্রমণ মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই খবর, কোচবিহার এত দিন গ্রিন ছিল। এক দিনে সেখানে ৩২ জন আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর দিনাজপুরে এক দিনে ৩৮ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। মালদহও বাদ যায়নি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, তবে সব থেকে চিন্তার বিষয় দার্জিলিং পাহাড়ের কার্শিয়াং ও সোনাদা থেকে সংক্রমণের খবর। এই প্রথম সেখানে সংক্রমণ ছড়াল।
আরও পড়ুন: ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে নতুন রাস্তাটা, ঠেকাতে মরিয়া ড্রাগন
আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধি গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy