Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড রাজ্যে

অতিমারিকে অবশ্য হারিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে এ দিনই  ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬ জন।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ২১:৫৮
Share: Save:

দৈনিক করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ধাপ ছুঁয়ে ফেলল রাজ্য। সেই সঙ্গে মৃতের সংখ্যাতেও রেকর্ড হল বুধবার। কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে সামান্য বাড়ল সংক্রমণের হারও। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে উদ্বেগে রেখে এ দিন কিছুটা কমল সুস্থতার হার।

রাজ্যে রোজই একটু একটু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ দিন তার আকার বেশ খানিকটা অস্বস্তি বা়ড়িয়ে দিল। গত কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৩১ জন। সেই অঙ্ক ছাপিয়ে গেল এ দিন। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৭ জন, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৬৯৭ জন।

দরজায় কড়া নাড়ছে উৎসবের মরসুম। তার ঠিক কয়েকটা দিন আগে সংক্রমণের এমন বাড়বৃদ্ধি স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। এখনই সংক্রমণ নতুন রেকর্ড তৈরি করলে দুর্গাপুজোর পর তা কোথায় পৌঁছবে, সেই আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক বিধি পালনের সতর্কতা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

দরজায় কড়া নাড়ছে উৎসবের মরসুম। তার ঠিক কয়েকটা দিন আগে সংক্রমণের এমন বাড়বৃদ্ধি স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। এখনই সংক্রমণ নতুন রেকর্ড তৈরি করলে দুর্গাপুজোর পর তা কোথায় পৌঁছবে, সেই আশঙ্কাই দেখা দিয়েছে অনেকের মনে। ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ একাধিক বিধি পালনের সতর্কতা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।

(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)

আরও পড়ুন: ‘ব্যস্ত’ অমিত শাহ, শিলিগুড়ি সফর বাতিল, ১৯ তারিখ আসছেন নড্ডা

সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাটাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এক দিনে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। এ দিন সেই গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ৯ জন মারা গিয়েছেন হাওড়ায়। ৫ জন মারা গিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হুগলিতে।

অতিমারিকে অবশ্য হারিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে এ দিনই  ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬ জন। গত কালকের থেকে সুস্থতার হার এ দিন সামান্য কমে হয়েছে ৮৭.৭৯ শতাংশ। গত কাল তা ছিল ৮৭.৮৪ শতাংশ। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫০৫।

অতিমারিকে অবশ্য হারিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে এ দিনই ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬ জন। গত কালকের থেকে সুস্থতার হার এ দিন সামান্য কমে হয়েছে ৮৭.৭৯ শতাংশ। গত কাল তা ছিল ৮৭.৮৪ শতাংশ। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫০৫।

এ দিন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার গত কালের চেয়ে সামান্য বেড়ে ৮.৬৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৫৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতি দিন যত জনের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। এই হার যত নিম্নমুখী হবে, ততই স্বস্তিদায়ক।

আরও পড়ুন: সৌমিত্রের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, উন্নতি হয়েছে শারীরিক অবস্থার

দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এ দিন কলকাতা ছাপিয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৫২ জন। কলকাতায় ওই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯৪। এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য জেলায় করোনা সংক্রমণের চিত্রটা এমন— দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩৪), হুগলি (১৬৩), হাওড়া (২২৮), পশ্চিম বর্ধমান (৯৫), পূর্ব বর্ধমান (৮৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৯৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (১২২), বাঁকুড়া (৭৯), পুরুলিয়া (৭০), ঝাড়গ্রাম (৪৮), বীরভূম (৭৮), নদিয়া (১৩৭) ও মুর্শিদাবাদ (৯১)। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (৭৩), কোচবিহার (৮১), দার্জিলিং (১১৫), জলপাইগুড়ি (৯০), উত্তর দিনাজপুর (৪৬)-এ দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় করোনার প্রকোপ অনেকটা কম।

দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এ দিন কলকাতা ছাপিয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৫২ জন। কলকাতায় ওই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯৪। এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য জেলায় করোনা সংক্রমণের চিত্রটা এমন— দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩৪), হুগলি (১৬৩), হাওড়া (২২৮), পশ্চিম বর্ধমান (৯৫), পূর্ব বর্ধমান (৮৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৯৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (১২২), বাঁকুড়া (৭৯), পুরুলিয়া (৭০), ঝাড়গ্রাম (৪৮), বীরভূম (৭৮), নদিয়া (১৩৭) ও মুর্শিদাবাদ (৯১)। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (৭৩), কোচবিহার (৮১), দার্জিলিং (১১৫), জলপাইগুড়ি (৯০), উত্তর দিনাজপুর (৪৬)-এ দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় করোনার প্রকোপ অনেকটা কম।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE