ছবি:শাটারস্টক
কোভিড ১৯ সংক্রমণের সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকার কথা বার বার সামনে আসছে। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা যে অনেকটাই তাঁদের উপরে ভর করে চলেছে সে কথা কার্যত স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারাও। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার হাউস স্টাফের পাঁচশোটি নতুন পদ তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছ থেকে সেই প্রস্তাবের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে। ঠিক হয়েছে, ওই হাউস স্টাফেরা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কাজ করবেন। তাঁদের মূল দায়িত্বই হবে সংক্রমিত হয়েছেন বা হতে পারেন, এমন রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া। প্রশাসনের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুন ওই পদের মেয়াদ হবে এক বছর। নবনিযুক্ত এই হাউস স্টাফদের দায়িত্বই থাকবে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি সামলানো।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একটি অংশের বক্তব্য, কোভিড ১৯ পরিস্থিতি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ফাঁকফোঁকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে বোঝা গিয়েছে, পরিকাঠামোয় কী কী খামতি রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সামাল দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। অবশ্যই অগ্রাধিকার পাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি! এক কর্তার কথায়, ‘‘কোভিড ১৯ বুঝিয়ে দিয়েছে যে চুপচাপ বসে থাকলে আর হবে না। বরং পরিষেবায় কী কী খামতি রয়েছে, তার উপরে নির্ভর করে রূপরেখা তৈরি করা প্রয়োজন।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, এমনিতেই গত কয়েক মাসে কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান থেকে স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন মতো নিয়োগ করা হচ্ছে। কখনও আবার কোভিড সংক্রমিত রোগীর অতিরিক্ত চাপ সামলাতে নন-কোভিড হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্র, সেফ হোম-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। অথচ স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা তো নির্দিষ্ট। ফলে সেই লোকবলের মধ্যেই যাতে সব জায়গায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক মতো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, প্রতিনিয়ত সেই
চেষ্টাই চলছে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy