Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
দলীয় দফতর থেকে ঘোষণা, ক্ষুব্ধ বিরোধী
Coronavirus in West Bengal

লকডাউন কবে, বললেন অনুব্রতই

বিরোধীদের কথায়, লকডাউনে মানুষ এমনিই বিপর্যস্ত। এমন একটা সময়ে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মন্তব্য করেন কী করে?

বোলপুরে দলীয় দফতরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

বোলপুরে দলীয় দফতরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০১:০৭
Share: Save:

এ বার তৃণমূলের অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হল জেলায় কবে লকডাউন। আর সেই ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই নিয়ে এক দিকে প্রশাসনে অস্বস্তি যেমন বেড়েছে, তেমনই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।

বৃহস্পতিবার বোলপুরে ভার্চুয়াল সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে অনুব্রত বলেন, ‘‘শুক্রবার ও শনিবার লকডাউন থাকছে না। অগস্টের ২ তারিখ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বীরভূমে আংশিক লকডাউন (বিকেল ৩টে থেকে ১১টা) থাকবে। যত দিন না জেলায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে।’’

এ দিনই আবার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে অবশ্য শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ঘণ্টা জেলার পুরশহর ও অন্য বাজারহাটকে আংশিক লকডাউনের আওতার বাইরে রেখেছে জেলা প্রশাসন। আর শনিবার নিয়ে জেলাশাসকের মন্তব্য, ‘‘অগস্টের এক তারিখ থেকে লকডাউন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সেটা শুক্রবারই জানাব।’’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে সবিস্তারে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

বিরোধীদের কথায়, লকডাউনে মানুষ এমনিই বিপর্যস্ত। এমন একটা সময়ে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মন্তব্য করেন কী করে? জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের দাবি, ‘‘তৃণমূল-ই জেলা প্রশাসন চালাচ্ছে, সেটা আর এক বার প্রমাণ হল।’’

জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি।

রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো সপ্তাহে দু’দিন লকডাউন ছিলই। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে ২২ জুলাই থেকে টানা ৮ দিন বীরভূমে ছ’টি পুরশহরকে সময়ভিত্তিক বা আংশিক লকডাউনের আওতায় এনেছে প্রশাসন। দুপুর ১২টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এই লকডাউনের আওতায় ছটি পুর এলাকা ছাড়াও প্রতিটি ব্লকের বিভিন্ন বাজার হাট রয়েছে। প্রশাসন চেয়েছে, পুর এলাকা এবং জেলার বাজার হাটে যেখানে লোকসমাগম বেশি হয়, সেই জমায়েত বন্ধ করতে। যে সময়টুকু বাজারহাট খোলা থাকছিল সেই সময়েও কড়া নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE