Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

অন্যত্র আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ

জেলাশাসক বলেন, ‘‘১১ হাজারের বেশি শ্রমিক বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩৬
Share: Save:

ভিন্‌ রাজ্যে আটকে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ১১ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছে, জানালেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, ওই শ্রমিকেরা কোথায় আটকে রয়েছেন, তার বিশদ তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কী সমস্যা রয়েছে জানার পরে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘১১ হাজারের বেশি শ্রমিক বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুম্বই, পুণে, কেরল, চেন্নাই, ভেল্লোর, এর্নাকুলাম-সহ বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে ওই শ্রমিকদের রাখা হয়েছে। সেই সব শিবিরে যোগাযোগ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিন্‌ জেলা বা ভিন্‌ রাজ্য থেকে পূর্ব বর্ধমানে এসে প্রায় ৮,০৯৪ জন আটকে রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ইটভাটা বা আলু তোলার কাজে জেলায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের দাবি, শুধু মেমারিতে দু’হাজারের বেশি এমন শ্রমিক রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ, ওই সব শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ভার মালিকদেরই বহন করতে হবে। কিন্তু ‘লকডাউন’-এর সময় যত গড়াচ্ছে, এই ভার বহন করা মুশকিল হয়ে পড়ছে বলে দাবি ইটভাটা বা জমির মালিকদের অনেকের। মেমারির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় বাগিলা প্রাথমিক স্কুলে বাইরের শ্রমিকেরা রয়েছেন। তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্ব এক-এক দিন এক জন করে গ্রামবাসী নিয়েছেন।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিন্‌ রাজ্যে কত শ্রমিক আটকে রয়েছেন, তা জানার জন্য প্রতিটি ব্লকে বিশেষ ‘সেল’ খোলা হয়েছিল। কখনও আটকে থাকা শ্রমিকদের ফোন পেয়ে, কোথাও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকের ফোন নম্বরে ব্লক থেকে যোগাযোগ করা হয়। কন্যাকুমারীতে আটকে থাকা আউশগ্রামের বাসিন্দা সুমিত দাসের কথায়, ‘‘আমি এখানে একটি হোটেলের কর্মী। একটি শিবিরে আছি। কী ভাবে বাড়ি ফিরব ভাবছিলাম। সেই সময়ে জেলা থেকে ফোন করে আমার খবর নেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন এসে খোঁজ নিয়ে যান। খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন।’’ একই কথা বলেন তেলঙ্গানায় আটকে থাকা সামিরুদ্দিন মণ্ডল, শেখ সহবত, শান্ত ঘোষেরা।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘ওই সব শ্রমিকের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, বাইরে থেকে পূর্ব বর্ধমানে আসা শ্রমিকেরা ১১৭টি কেন্দ্রে রয়েছেন। ১৭টি জায়গায় ত্রাণ শিবির চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE