হাসপাতালে অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েই বিরোধীরা বলল, আরও আগেই সমস্যা মিটে যাওয়া উচিত ছিল। তাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাঁচত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার বলেন, ‘‘ডাক্তারেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, ভাল। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি ডাক্তারদের কাজে ফেরা। কারণ অজস্র সাধারণ মানুষ গত সাত দিন ধরে চিকিৎসা না পেয়ে বিপন্ন। তবে এটা অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। তা হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এত দূর গড়াত না।’’ দিলীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দলের কোর কমিটির বৈঠক, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক— সবই সরাসরি সম্প্রচার হতে দেন। প্রচার পছন্দ করেন। হঠাৎ এই বৈঠক ‘লাইভ’ দেখাতে দেবেন না বলে গোঁ ধরেছিলেন কেন? গোপন করার কিছু ছিল কি?’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হচ্ছিলেন না বলে জুনিয়র চিকিৎসকেরাই বাধ্য হয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। সরকার যে কাজ করতে পারেনি প্রথমে, সেটা চিকিৎসকেরা করেছেন।’’ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও রোগীদের চিকিৎসার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এ দিনই শহরে মিছিল করেছে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট।
নবান্নের বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ হওয়ায় খুশি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আমরা আশা করব, এর পর থেকে প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স-সহ রোগীদের পরিবার সবাই মিলে এক সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে মানুষের সেবার কাজে ফিরবেন। তাঁদের স্পর্শে রোগগ্রস্ত মানুষেরা দ্রুত সুস্থ হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy